বিদেশি বিনিয়োগের নামে কোম্পানিতে ঢুকেছে পরিবারের টাকা! কী বলছে আদানি গ্রুপ ? হিন্ডেনবার্গের পর আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিল সর্বভারতীয় এক ইংরেজি দৈনিক। যদিও সেই রিপোর্ট খারিজ করল আদানি গ্রুপ। কোম্পানির তরফে বলা হয়েছে এই খবর সত্যি নয়। আসলে কী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ওই সংবাদপত্র ?
আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ ?
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আদানি গ্রুপে যে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (FDI)এসেছে, সেই প্রতিষ্ঠান বা সত্তাধিকারীদের প্রায় অর্ধেকই আদানি পরিবারের সঙ্গে যুক্ত। ২২ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বা এফডিআই-এর টাকার পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এই তথ্য। যেখানে দেখা গেছে, আদানিদের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান এই গোষ্ঠীতে কমপক্ষে ২.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এই পরিমাণ ২০১৭ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রাপ্ত মোট ৫.৭ বিলিয়ন ডলার FDI এর ৪৫.৪ শতাংশ।
জবাবে কী বলছে আদানি গ্রুপ ?
যদিও আদানি গ্রুপ দাবি করেছে, রিপোর্টে মৌলিক কিছু বিষয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। সর্বভারতীয় ওই ইংরেজি দৈনিকে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপকে এফডিআই বা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনেয়াগ সরবরাহকারী বেশিরভাগ শেল কোম্পানিগুলিকে তার প্রোমোটার বা মালিক হিসাবে আদানি গোষ্ঠীর নাম উল্লেখ করেছে। এই কোম্পানিগুলিতে প্রোমোটার বা মালিকরা সকলেই গৌতম আদানি বা তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ। এদের মধ্যে আদানির বড় ভাই বিনোদ আদানির সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত দুটি কোম্পানি থেকে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ এসেছে আদানি গ্রুপে।
আরও পড়ুন – ফের পিছোল ডিএ মামলার শুনানি
আইন ভেঙেছে আদানিরা ?
এই বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া গিয়েছে বিদেশি বিনিয়োগকীরা কোম্পানি DMCC -র ওয়েবসাইটে। যেখানে বলা হয়েছে, সংস্থা কেবল বিনোদ আদানির তহবিলের মাধ্যমে ২০১৭ -২০১৮ র মধ্যে আদানি কোম্পানিগুলিতে ৬৩১ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এখানেই শেষ নয়, মরিশাস-রেজিস্টার্ড গার্ডেনিয়া ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি ২০২১-২০২২ সালের মধ্যে আদানি কোম্পানিতে ৭৮২ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ইমার্জিং মার্কেটের ম্যানেজার সুবীর মিত্র পরিচালনা করে এই প্রতিষ্ঠান।