‘বাংলার সবাই কংগ্রেসে চলে আসুন’, কর্নাটকের জয়ের পর বললেন অধীর

‘বাংলার সবাই কংগ্রেসে চলে আসুন’, কর্নাটকের জয়ের পর বললেন অধীর,ধরাশায়ী বিজেপি (BJP)। কর্নাটকে শাসন ক্ষমতা হাতে নিতে চলেছে কংগ্রেস (Congress)। শনির সকালে ভোটের রেজাল্ট সামনে আসতেই দেখা যায় বিজেপি, জেডিএস-কে পিছনে ফেলে তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে কংগ্রেস। যখন এই খবর লেখা হচ্ছে তখন কর্নাটকে ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩৫টিতে এগিয়ে হাত শিবির। ম্যাজিক ফিগার ১১৩। এদিকে সামনের পঞ্চায়েত, চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে দক্ষিণে কংগ্রেসের বড় জয়ে স্বভাবতই নতুন করে অক্সিজেন পাচ্ছেন বাংলার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা। দিকে দিকে ধরা পড়ছে উচ্ছ্বাসের ছবি। আত্মবিশ্বাসের সুর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গলায়। তাঁর সাফ দাবি, দেশ থেকে বিজেপিকে উৎখাত করতে বিকল্প একটাই। আর সেটা কংগ্রেসই।

 

 

 

এদিকে বসিরহাট থেকে বাগুইআটি, কর্নাটকে দলের জয়ে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের মেজাজ সর্বত্রই। জয়ের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্রই বিজয় উৎসবে নেমে পড়লেন বসিরহাটের কংগ্রেস নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। বসিরহাটের বসিরহাট এক নম্বর ব্লকের বসিরহাট-মালঞ্চ রোডের পিফা তেঁতুলতলা এলাকায় কংগ্রেস নেতারা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে, ফুল ও মিষ্টি বিতরণ করে এবং একে অপরকে সবুজ আবির মাখিয়ে আনন্দ উৎসবে মাতলেন। অন্যদিকে রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভার কংগ্রেস কর্মীরা জয়ের আনন্দে মেতে ওঠেন। ব্যান্ডপার্টির সুরের তালে তালে আবির উড়িয়ে জয়ের আনন্দ ভাগ করে নেয় কংগ্রেস কর্মীরা। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও অধিররঞ্জন চৌধুরীর নামে উঠতে থাকে স্লোগান।

 

 

 

আরও পড়ুন –   ‘দলে কিছু ভিখারি নেতা আছে, হাত পেতে টাকা নেওয়া তাঁদের কাজ’, খোদ…

 

 

 

অধীর এদিন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল আগামীদিনে উঠে যাবে। বাষ্পীভূত হয়ে যাবে। মিলিয়ে নেবেন আমার কথা। হয় কংগ্রেস নয় বিজেপি, মাঝে কিছু করে লাভ নেই। বিজেপিকে সারা দেশে রুখতে গেলে কংগ্রেস দরকার। কংগ্রেস ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রতীক। ঐক্যবদ্ধ ভারত, উন্নয়নের প্রতীক কংগ্রেস, কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থের প্রতীক। এদিক-ওদিক না তাকিয়ে বাংলার মানুষ সব কংগ্রেসে চলে আসুন। বিজেপিকে হারাতে কংগ্রেস আজ অপরিহার্য।”