
কিন্তু তাদের কাজ কর্মে সে প্রমাণ নেই। হাজার হাজার মানুষ দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে ছুটছেন নিজেদের দেশ আফগানিস্তান (Afghan) ছাড়ার জন্য। কাবুল এয়ারপোর্টে মানুষের ভিড় দেখে শিউরে উঠতে হয়। প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে প্লেনের পাখায় চড়ে বসছে মানুষ। সেখান থেকে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এয়ারপোর্ট চত্বরে পৌঁছানোর রাস্তায় বন্দুক হাতে পাহারা দিচ্ছে তালিবানরা। যাতে কেউ পালাতে না পারে ! রাজত্ব বা নিজেদের নৃশংস দাপট দেখানোর জন্য প্রজাদেরও তো দরকার। কোথায় পাবে প্রজা সাবাই চলে গেলে ! আর এই সবের মধ্যেই নানা ভয়াবহ ছবি, ভিডিও সামনে আসছে, যা দেখে কেঁপে উঠছে বিশ্ব।
সম্প্রতি তেমনই এক শিশুর ভিডিও ও ছবি নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বিশ্ব। কাবুল বিমানবন্দরে কোনওভাবে প্রাণ বাঁচিয়ে অন্য দেশে আসার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছে। সেখানেই ভিড়ের মধ্যে দেখা গিয়েছিল এক বাবা কাঁটাতার পার করে তাঁর দুধের শিশুকে তুলে দিচ্ছে ইউএস আর্মির হাতে। এই ছবি দেখে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে প্রতিবাদ হয়েছিল। ওই ছোট্ট শিশু কি আর ফিরতে পারবে তার বাবা-মায়ের কাছে? ভেবেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন অনেকে। কি হবে এমন হাজার হাজার শিশুর !
তবে স্বস্তির খবর আছে বইকি ! সব কিছু খারাপের মধ্যেও একটু হয়ত ভালো খবর মনকে শান্তি দেয়। এই খবরটাও তেমনই। ওই যে ভাইরাল হওয়া শিশুর ছবি, যাকে দেখে গোটা বিশ্ব কেঁদে উঠেছিল, জানা গিয়েছে সে ভালো আছে। এবং শিশুটিকে কাবুল বিমানবন্দরে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্য দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য। ইউএস অফিসিয়ালস জানিয়েছে এই তথ্য।
ইউএস সেনার মেজর জিম স্টেনজার জানিয়েছেন, “বাচ্চাটি অসুস্থ ছিল। তাই তাঁর বাবা আর্জি জানায় যদি একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় ! তখনই আর্মির হাতে তুলে দেয় শিশুটিকে। এর পর চিকিৎসা ও যত্ন নেওয়া হয় শিশুটির। এবং শিশুটি একটু সুস্থ বোধ করলে, তাকে ফের তার বাবা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এবং তারা সকলেই ঠিক আছেন। আফগানিস্তান (Afghan) ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও পেরেছেন।” এই খবর জানার পর থেকে স্বস্তি নেমেছে গোটা বিশ্বে।
এতো না হয় একটা শিশুর ভবিষ্যৎ কিছুটা হলেও সুনিশ্চিত হল ! কিন্তু এমন হাজার হাজার আফগান শিশুর ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে তা বলা মুশকিল। না জানে আর কত রক্ত ঝরলে তবে শান্ত হবে এই নৃংশসতা।