AFSPA নিয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কমানো হচ্ছে AFSPA- র অধীনে থাকা এলাকার পরিমাণ। এই মর্মে ট্যুইট করে ভারতের নর্থ ইস্টের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্রীয় সরকার।সূত্রের খবর,বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে টুইটটি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই টুইটে অমিত লিখেছেন, “AFSPA-র অধীনস্ত এলাকার পরিমাণ কমানো হচ্ছে। নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লাগাতার প্রচেষ্টায় উন্নয়ন দ্রুততর হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি ফিরেছে। আর সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির মধ্যে নাগাল্যান্ড, অসম মণিপুর এবং অরুণাচলপ্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই বহাল ছিল এই AFSPA বা বিশেষ সামরিক আইন এই আইনের জোরে সেই এলাকাগুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী বহু অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করে থাকে। এমনকী, এই সব রাজ্যগুলিতে কাউকে গ্রেফতার করতে হলেও বাহিনীর আলাদা করে কোনও প্রশাসনিক অনুমতি নেবার দরকার হয় না। কিন্তু এ নিয়ে বহুকালের ক্ষোভ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের।তাদের অধিকাংশেরই অভিযোগ ছিল, AFSPA-কে হাতিয়ার করে এইসব এলাকায় বছরের পর বছর ধরে সেনার সদস্যরা অত্যাচার করে চলেছেন।
কিন্তু সেনা কখনওই সেই অভিযোগ স্বীকার করেনি।অন্যদিকে, সরকারের তরফে বক্তব্য ছিল,” সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলের নিরাপত্তার স্বার্থেই AFSPA প্রয়োগ করা হয়েছে। এবং তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। ” কিন্তু তারপর ও যদি AFSPA-র আওতাধীন এলাকার পরিমাণ কমানো হয়,তা হলে তা একটি বিশাল পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত,১৯৫৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দেশের নির্দিষ্ট কয়েকটি এলাকায় আফস্পা কার্যকর করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে উত্তর-পূর্ব ভারতে এই আইন কার্যকর করা হয়। পরবর্তীতে যদিও তা পঞ্জাবেও কার্যকরী হয়।এছাড়া, জম্মু-কাশ্মীরেও সামরিক বাহিনীর হাতে অন্য একটি বিশেষ আইনের সুবিধা তুলে দেওয়া হয়।যদিও, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই ধরনের আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন স্থানীায় বাসিন্দারা।
আর ও পড়ুন দেশজুড়ে ব্যাংক প্রতারণা মূল পান্ডা গ্রেপ্তার
এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য,১৯৯০ সালের ৫ জুলাই জম্মু-কাশ্মীরে যে বিশেষ আইন প্রয়োগ করা হয়েছিল, তার পোশাকি নাম ছিল- Armed Forces (Jammu and Kashmir) Special Powers Act ।তবে, উল্লেখ্য যে, মোদী সরকারের আমলে প্রথম থেকেই বার্তা দেওয়া হয়েছিল,যে আইন-শঙ্খলা ও নিরাপত্তাব্যবস্থার উন্নতি হলে ধীরে ধীরে এই আইন প্রত্যাহার করা হতে পারে।কিন্তু তাই নিয়েএতদিন পর্যন্ত বড় কোনও পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি।তাই, বৃহস্পতিবারে করা এই ঘোষণা এই মুহুর্তে ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে খুবইব তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার।বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলের মনে আশা জেগেছে যে, এইভাবেই এরপর হয়তো সত্যিই এই আইন টি ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হবে এই দেশ থেকে