শো শেষ করে কোন প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বাড়িতে জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন অরিজিৎ? শনিবার অ্যাকোয়াটিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের শো। সেই শো নিয়ে জনগণের উন্মাদনা এখনও ফিকে হয়নি। এরই মধ্যে খবর, রবিবার সারা সন্ধে কলকাতার বুকেই জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন অরিজিৎ। শনিবার অ্যাকোয়াটিকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে অরিজিৎ সিংয়ের শো। সেই শো নিয়ে জনগণের উন্মাদনা এখনও ফিকে হয়নি। এরই মধ্যে খবর, রবিবার সারা সন্ধে কলকাতার বুকেই জমিয়ে আড্ডা দিয়েছেন অরিজিৎ। তাও এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বাড়ি। তিনি কে জানেন? রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাস হাকিম। তবে সে আড্ডা কোনও রাজনৈতিক আলোচনা নয়, নেহাতই পারিবারিক সান্ধ্য আড্ডা। হাজির ছিলেন ফিরহাদ কন্যা প্রিয়দর্শীনিও। খাওয়াদাওয়ার আয়োজন ছিল বিস্তর। সান্ধ্য আড্ডার ছবি শেয়ার করেছেন প্রিয়দর্শীনি নিজেই। লিখেছেন, “এখনও অরিজিৎ সিংকে গত রাতে কনসার্টে লাইভ দেখার জাদুতে ডুবে আছি। আজ সন্ধ্যায় তাঁকে আমাদের বাড়িতে পেয়ে আমার আনন্দের কথা ভাবুন।তাঁর ব্যবহার তাঁর সঙ্গীতের মতোই মনোরম।”
১৪ ফেব্রুয়ারি অরিজিতের ইকো পার্কে একটি কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎই হিডকোর তরফে জানানো হয় আন্তর্জাতিক কর্মসূচীর কারণে ইকো পার্ককে ভেন্যু হিসেবে দেওয়া সম্ভব নয়। বাতিল হয় গায়কের কনসার্ট। শুরু হয় বিতর্ক। এই ইস্যুতে মন্তব্য করেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সব শো নয়, বেছে-বেছে অনুষ্ঠান বাতিল করা হচ্ছে।তৃণমূলের সঙ্গে না থাকলে করে খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু অরিজিৎ সিং নয়, যারা তৃণমূলের সঙ্গে নেই প্রত্যেকের শো বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। এভাবেই বাংলার শিল্প সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে তৃণমূল।” যদিও হিডকোর তরফে জানানো হয়েছিলেন, নিউটাউনের বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারে জি ২০ সামিটের কর্মসূচীর কারণে প্রশাসনের অনুমতি পাওয়া যায়নি। কিছু দিনের মধ্যেই যদিও আয়োজকদের তরফে কনসার্টের নতুন স্থান ও তারিখ ঘোষণা করা হয় যা শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তৃণমূল নেতার সঙ্গে শো-শেষে এই সাক্ষাৎ কি তাহলে নেহাতই ব্যক্তিগত, নাকি রয়েছে কোনও অন্য সমীকরণ? প্রশ্ন এড়িয়ে দেওয়া যায় কি?
আরও পড়ুন – কেন স্বরা-ফহাদের বিয়েকে অবৈধ ঘোষণা মুসলিম সংগঠনের?
প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই ওই শো’ য়ে গেরুয়া বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন অরিজিৎ। সেই গেরুয়া প্রসঙ্গ যা নিয়ে কিছু দিন আগেই শহর জুড়ে হয়েছে কতই না জলঘোলা? শনিবার মঞ্চে উঠে অরিজিৎ বলেন, ” এই গানটা নিয়ে খামোকা বিতর্ক তৈরি হল। গেরুয়া রঙটা তো সন্ন্যাসীদের রং। স্বামীজির রঙ। বিবেকানন্দও যদি সাদা পরতেন তাহলে কি সাদা নিয়েই এরকম হত?” কার্যতই যেন বিতর্কে জল ঢালতে চাইলেন অরিজিৎ। কোথা থেকে হয়েছিল গেরুয়া বিতর্কের সূত্রপাত? ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন অরিজিৎ সিং। অরিজিৎকে মঞ্চে বরণ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী তথা বিধায়ক জুন মালিয়া। মঞ্চে উঠে অরিজিৎ বলেন, “আমরা সবাই ছবি দেখতে ভালবাসি। কোভিডের পরে আবারও একটা বিষয় নিয়ে উৎসাহ তৈরি হল। এমন একটা জায়গা যেখানে ছবি নিয়ে বিনোদনও হয়, দেশের কথা জানতে পারি, শিক্ষাও বাড়ে। সবাইকে আমার প্রণাম”। এরপরেই দেখা যায় অরিজিতের উদ্দেশে একটি গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। অরিজিৎও নিরাশ করেননি। তিনি বলেন, “একটা গান গেয়ে দিই, তাহলে ল্যাটা চুকে যাবে।” শাহরুখকে নিবেদন করে অরিজিৎ ধরেন সেই জনপ্রিয় গান,”রঙ দে তু মোহে গেরুয়া”। সেই ক্লিপিংস ভাইরাল হয়। বিতর্কের শুরু এর পরেই।