বিজেপিকে হারাতে জোট বেধেঁছে দেশের সমস্ত বিরোধী দলগুলি। তবে সর্বভারতীয় স্তরে জোট বাধঁলেও রাজ্য স্তরে যেন কিছুতেই মিটছে না বিরোধীদের বিবাদ। একদিকে বাংলা, অন্যদিকে পঞ্জাব। দুই রাজ্য নিয়েই বেজায় চাপে পড়েছে ইন্ডিয়া জোট (INDIA Alliance)। বাংলায় যেখানে কংগ্রেস বনাম তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধ মেটাতে নাকানি-চোবানি খাচ্ছে জোটের ‘মাথা’রা, সেখানেই নতুন করে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠছে পঞ্জাব (Punjab)। ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস (Congress) ও আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) শীর্ষ নেতৃত্ব হাত মেলালেও, রাজ্যস্তরে দূরত্ব ক্রমশ্য বেড়েই চলেছে। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারির পর সেই দূরত্ব আরও বাড়ল। কংগ্রেসের অভিযোগ, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে পঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টি। এদিকে, জাতীয় স্তরে আপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে দলের অন্দরেই অসন্তোষের মুখে পড়েছে হাইকম্যান্ড।
আরও পড়ুনঃ রাজভবনেই শপথ ধূপগুড়ির বিধায়কের
কেন্দ্রের গদি থেকে বিজেপিকে সরাতেই বিরোধী জোট ইন্ডিয়া তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু রাজ্যে রাজ্যে এই জোট নিয়ে বিরোধিতা বাড়ছে জোটসঙ্গী দলের মধ্যেই। মূলত কংগ্রেসের সঙ্গেই একাধিক রাজনৈতিক দলের বিরোধ। পশ্চিমবঙ্গে যেমন তৃণমূলের সঙ্গে জোট বাধতে নারাজ কংগ্রেস, তেমনই পঞ্জাব ও দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গেও বিরোধ বাড়ছে কংগ্রেসের। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের কংগ্রেস বিধায়ক সুখপাল সিং খইরাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই দলীয় কর্মীরা ক্ষোভের সুর চড়িয়েছে। তাদের অভিযোগ, আপের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়েছেন কংগ্রেস বিধায়ক।
সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটের বেঙ্গালুরু ও মুম্বই বৈঠকে অরবিন্দ কেজরীবাল, সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী একই টেবিলে বসার পরই হাইকমান্ডকে সতর্ক করেছিল পঞ্জাব কংগ্রেস। এরপর সপ্তাহের শুরুতেই পঞ্জাব আপের তরফে অভিযোগ করা হয় যে কংগ্রেস দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। আম আদমি পার্টির ৩২ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কংগ্রেস, এমনটাই অভিযোগ তোলে আপ। এরপরই ঘটনাচক্রে গতকাল গ্রেফতার হন কংগ্রেস বিধায়ক।
আট বছর পুরনো মাদক মামলায় সুখপাল সিং খইরা গ্রেফতার হতেই কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ করা হয় যে বিজেপির মতোই প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে পঞ্জাব কংগ্রেস।
অন্যদিকে, দিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন পুনর্নিমার্ণে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। এই বিষয় নিয়ে এখনও অবধি নীরবতা বজায় রেখেছে কংগ্রেস। আর এই নীরবতা ঘিরেই দুই দলের দূরত্ব বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।