বিপর্যয়ের মুখে নিউজিল্যান্ড, এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পশ্চিম ওয়েলিংটন। সাইক্লোন গেব্রিয়েলের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ফের বিপর্যয়ের মুখে নিউজিল্যান্ড। বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি), এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পশ্চিম ওয়েলিংটন। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.১। প্রাথমিক খবর অনুযায়ী, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা বেজে ৩৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়েছে। পারাপারাউমু থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মাটি থেকে ৫৭ কিলোমিটার নীচে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎকেন্দ্র। ভূমিকম্পের জেরে কোনও বড় মাপের ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও পাওয়া যায়নি। স্থলভাগেই ভূমিকম্পটি হওয়ায়, সুনামির সতর্কতাও জারি করা হয়নি।
দিন দুয়েক আগেই ঘূর্ণিঝড় গেব্রিয়েলের দাপটে তছনছ হয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের এক বিরাট অংশ। বন্যা এবং ভূমিধসে বিশাল মাপের ক্ষয়ক্ষটি হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছিল, গাছ পড়ে আটকে গিয়েছিল বহু এলাকার রাস্তাঘাট। মৃত্যু হয়েছিল চারজনের। সেই বিপর্যয়ের পর রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ চলার মধ্যেই ঘটল ভূমিকম্প। ঘূর্ণিঝড় গেব্রিয়েল ধীরে ধীরে নিউজিল্যান্ড থেকে দূরে সরে গেলেও, আগামী কয়েক দিনে আরও ভারী বৃষ্র পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। যার ফলে আরও ভূমিধস এবং বন্যার ঝুঁকি রয়েছে।
জাপান বা ইন্দোনেশিয়ার মতো, নিউজিল্যান্ডও প্রশান্ত মহাসাগরের “রিং অফ ফায়ার”-এর উপর অবস্থিত। যে বলয় জুড়ে রয়েছে বেশ কিছু আগ্নেয়গিরি এবং অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ। ২০১১ সালে নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণ দ্বীপের ক্রাইস্টচার্চে এক ভূমিকম্পে ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ধ্বংস হয়েছিল হাজার হাজার ভবন।
আরও পড়ুন – মার্চ থেকে ৩ শতাংশ বর্ধিত DA, রাজ্য বাজেটে বড় ঘোষণা অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমার
তবে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্তত পক্ষে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ধরে প্রবলভাবে দুলে উঠেছিল পায়েকর তলার মাটি। একজন বলেছেন, “মনে হচ্ছিল মাটির নীচ দিয়ে একের পর এক দৈত্যাকার ট্রাক চলে যাচ্ছে।” ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যেই ওয়েলিংটন শহরের ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। নিউজিল্যান্ডের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে।
(সব খবর, ঠিক খবর, প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন facebook পেজ এবং youtube )