১৪৪ ধারা প্রত্যাহার হতেই ভাঙড়ে ফের ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার

১৪৪ ধারা প্রত্যাহার হতেই ভাঙড়ে ফের ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার , রাজনৈতিক হিংসার কারণে জারি হওয়া ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ফের বোমা উদ্ধার করা হল ভাঙড়ে।আজ সকালে তিন ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার করল কাশীপুর থানার পুলিশ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয় বোমা।খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডকেও।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে কাশীপুর থানা এলাকার কাঁটাডাঙা গ্রাম থেকে এই তিন ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে। কে বা কারা ব্যাগের মধ্যে করে বোমা এখানে রেখেছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

 

 

 

 

 

তৃণমূলের সঙ্গে এই বোমা উদ্ধারের কোনও সম্পর্ক নেই।ভাঙড়ে তৃণমূল কর্মীরা বারবার আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও যথেষ্ট সংবেদনশীল ভুমিকা পালন করছেন।পুলিশ প্রশাসনকে বলব উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে’। এই বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘এটা গ্রাম নাকি বোমা রাখার কারখানা কিছুই বুঝতে পারছি না। কিছুদিন পরপরই গ্রামে পুলিশ আসছে,বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছে।আর যত এসব হচ্ছে ততই আতঙ্ক বাড়ছে। বাড়িতে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা রয়েছে।এসব বোমা যদি ফাটে তাহলে যে কি হবে সেসব ভেবেই শিউরে উঠছি।সেই সঙ্গে ভোটের আগে থেকে চলা হিংসার আতঙ্ক তো রয়েছেই’।

 

 

 

 

 

এসব দেখেই কার্যত ঘুম উড়ে গিয়েছে ভাঙড়ের বাসিন্দাদের। কোনও এলাকার বাসিন্দাই থাকতে পারছেন না নিশ্চিন্তে।উল্লেখ্য, দুই সপ্তাহ আগেই ভাঙড়ের কাশীপুর থানার কাঁঠালিয়া এলাকায় মাঠের মাঝখানে পাওয়া যায় একটি ব্যাগ এবং একটি ড্রাম ভর্তি বোমা।সেগুলি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

 

 

 

 

খবর পেয়ে কাশীপুর থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে।পুলিশের অনুমান,৬ টি ব্যারেলে প্রায় ১০০ বোমা মজুত ছিল।রাতে স্থানীয় বাসিন্দারা বোমা ভর্তি ব্যারেলগুলি দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।কাশীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জায়গাটি ঘিরে রাখে। খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে।

 

 

 

আরও পড়ুন – হেরিটেজ তকমা পেল মুর্শিদাবাদের নিমতিতার জমিদার বাড়ি, সত্যজিৎ রায়ের ‘জলসাঘর’ তৈরি হয়েছিল…

 

 

 

আজ ফের বোমা উদ্ধারের ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় ISF এর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম। তিনি বলেন,‘এই বোমা মজুত করা হয়েছিল তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা করতে।ISF এর দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।