নরকঙ্কাল উদ্ধারের পর ত্রিপুরেশ্বীর মন্দির লাগায়ো জলাশয় ব্যবহারে মন্দির কমিটির নিষেধাজ্ঞা জারি।ত্রিপুরার ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির লাগোয়া জলাশয় থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধারের পর কেটে গেছে কয়েকটা দিন।কিন্তু এখনও পূণ্যার্থীদের জলাশয় ব্যবহারে উপর জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা।জল শোধনের পরেই জলাশয়টি খুলে দেওয়া হবে বলে কমিটির তরফে জানানো হয়েছে।গত বুধবার মন্দির সংলগ্ন কল্যাণ সাগরে মানুসের মাথা ভাসতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন।খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ এসে নরকঙ্কালটি উদ্ধার করে।এরপর জলাশয়ের জল অপবিত্র হয়েছে,এই দাবি করে ৪৫ দিনের জন্য কল্যাণ সাগর ঘিরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির কমিটি।
ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন কল্যাণ সাগরে এই ধরনের ঘটনা রুখতে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক অভিষেক দেবরায়।ভক্তদের স্নানের জায়গাটি ছাড়া পুরো কল্যাণ সাগরটি কংক্রিটের দেওয়াল দিয়ে ঘিরে ফেলার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে জলাশয় এবং মন্দির চত্ত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
মন্দিরের প্রধান পুরোহিত চন্দন চক্রবর্তী জানিয়েছেন,মন্দিরের পুজোর জন্য জলাশয়ের জল ব্যবহার করা হত।কিন্তু সেখান থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধার হওয়ায় অপবিত্র হয়েছে।৪৫ দিন পরে একটি বিশেষ শুদ্ধিপুজোর আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।তারপরেই সেই জল ব্যবহার করা হবে বলে জানান মন্দিরের প্রধান পুরোহিত।কেন ৪৫ দিন জল ব্যবহার করা হবে না, তা নিয়েও যুক্তি দিয়েছেন চন্দন চক্রবর্তী।এ ব্যপারে শাস্ত্রে বর্ণিত বিধির কথা তুলে ধরেন তিনি।প্রধান পুরোহিত বলেন যে জল অপবিত্র হলে,ছয়মাসের জন্য স্পর্শমুক্ত রাখতে হয়। কিন্তু পূণ্যার্থী ও মন্দিরের কাজের কথা ভেবে তা কমিয়ে ৪৫ দিন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন – তারাপীঠে ভক্তদের থেকে তোলাবাজি, মারধরের অভিযোগ! ধৃত ৬
তবে,ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির সংলগ্ন কল্যাণ সাগরে এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়।দুই বছর আগে কল্যাণ সাগরে স্নান করতে গিয়ে এক ভক্তের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানান প্রধান পুরোহিত।সেই সময়ও জল শুদ্ধিকরণের জন্য একই নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল বলে জানান।এদিকে,কল্যাণ সাগর থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধারের ঘটনায় তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।অন্য জায়গা থেকে নিয়ে এসে নরকঙ্কালটি জলাশয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান।প্রতিদিন মন্দিরে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। ভক্তদের মধ্যেও কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।