অক্ষয়ের শুটিংয়ে চিতাবাঘের হানা ! হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিল্পী।

অক্ষয়ের শুটিংয়ে চিতাবাঘের হানা ! হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিল্পী।

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অক্ষয়ের শুটিংয়ে চিতাবাঘের হানা ! হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিল্পী। কখন মানুষ বিপদে পড়বেন কেউ জানেন না, তা সে নেতা হোন বা অভিনেতা। সাধারণ মানুষ থেকে ভিভিআইপি সকলের জন্যই একই নিয়ম। শ্যুটিং স্পটে অনেকক্ষেত্রে ওত পেতে থাকে হাজারও বিপদ। বারবার চেষ্টা করেও তার থেকে নিস্তার নেই কারও। এবার চিতাবাঘের থাবায় আক্রান্ত অক্ষয় কুমারের মেক আপ আর্টিস্ট। বড়ে মিঞা ছোটে মিঞার শ্যুটিং চলাকালিনই হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা। তবে রক্ষে একটাই। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

 

 

 

মুম্বইয়ের এই ফিল্মসিটিতে প্রতিদিন হাজার হাজার সিনেমার শুটিং হয়। রাতের দিকে সেখানে কোনও আলোর ব্যবস্থাও থাকে না। ফলে এমন ঘটনা বারবার ঘটায় ভীষণভাবে দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছেন শিল্পীরাও। প্রসঙ্গত, অক্ষয় কুমার ও টাইগার শ্রফ অভিনীত বড়ে মিঞা ছোটে মিঞা ছবির শ্যুটিং চলাকালিন এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। শ্রাবণ এই দুই অভিনেতারই মেকআপ-এর দায়িত্বে।

 

 

রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্রাবণ বিশ্বকর্মা তাঁর বাইকে ছিলেন। তিনি বাইক থেকে তাঁর বন্ধুকে ড্রপ করার সময়েই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ি ঘুরিয়ে ফেরার সময়ে হঠাৎই আক্রমণ চিতাবাঘের। তাঁর বাইকের সঙ্গে রীতিমতো শুরু হয় সংঘর্ষ। একদিকে যেমন আহত হয়েছেন শ্রাবণ, তেমনই চিতাবাঘেরও আঘাত লাগে। তবে প্রোডাকশন হাউজের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই চিতাবাঘের যত্ন নেওয়াও শুরু হয়েছে। হাসপাতালে শুয়েই তাঁর ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন শ্রাবণ। শুটিং লোকেশন থেকে বেশ কিছুটা দূরে মেকআপ আর্টিস্ট তাঁর বন্ধুকে ছাড়তে গিয়েছিলেন। হঠাৎই একটি শুকরকে দেখেন রাস্তা পার হতে। সেই সময় বাইকের গতি বাড়িয়ে তিনি এগিয়ে যেতে গিয়েই থমকে যান। দেখেন শুকরটির পিছনে তারা করছে একটি চিতা। এভাবে দেখতে দেখতেই হঠাৎ করে তাঁর বাইকের সামনে চলে আসে চিতাবাঘটি। এরপর তাঁর মনে পড়ে তিনি বাইক থেকে পড়ে যান। চিতাবাঘটি চারপাশে ঘুরতে শুরু করে।

 

আরও পড়ুন –বিয়ের পর স্বামী জানলেন স্ত্রী দুর্ধর্ষ গ্যাংস্টার, ঘটক অ্যাপের মাধ্যমে দু’জনের পরিচয়।

 

আশপাশের মানুষ এ দৃশ্য দেখতে পেয়ে ছুটে এসে বাঁচান শিল্পীকে। কোনওকিছুই আর এরপর মনে নেই তাঁর। এই ঘটনার পর অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স এর সভাপতি সুরেশ শ্যামলাল গুপ্ত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এ ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার। কারণ, ফিল্ম সিটিতে বারবার বেরিয়ে আসা চিতাবাঘ অনেক ক্ষতি করছে। তাই তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই ধরণের ঘটনা বারবার ঘটতে থাকলে চিতাবাঘ থেকে সুরক্ষার গ্যারান্টি কে নেবে?

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top