তিন রাজনৈতিক দলে পঞ্চায়েতের প্রার্থী, সাংসদ মিমির তিন মামি, এবার যেন ধর্মসঙ্কটে তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। মিমির বাড়ির কাছাকাছিই তাঁর মামার বাড়ি। তিন মামি এবার তিন রাজনৈতিক দলে পঞ্চায়েতের প্রার্থী। স্বভাবতই কার হয়ে সমর্থনের হাত থাকবে তৃণমূল সাংসদের, কোন মামিকে বেছে নেবেন আদরের ভাগ্নি, তা নিয়ে এখন জোর চর্চা জলপাইগুড়ি পুরাতন পান্ডা পাড়ায়। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরাতন পান্ডা পাড়া এলাকায় ১৭/১৫৫ নম্বর বুথে সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর বাড়ি। এই পাড়াতেই মিমির মামার বাড়িও। তাঁরাও চক্রবর্তী। বনেদি পরিবার এই চক্রবর্তীদের। এ বাড়িরই তিন বৌ এবার ভোটে লড়ছেন। শোনা যাচ্ছে, মিমির শুভেচ্ছা তিন মামির কাছেই পৌঁছেছে। তবে কোনও মামি জিতলে ভাগ্নি সবথেকে বেশি খুশি হবেন তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
‘সম্পর্ক বজায় রেখেই ভোটের লড়াই হবে, মানুষ যা রায় দেবেন শিরোধার্য’, বলছেন ছাত্র রাজনীতি করে আসা সিপিএমের প্রার্থী পর্ণা নাগ চক্রবর্তী। তৃণমূলের মুখ পুনমও বলছেন, তিনজনের মধ্যে যেই জিতুক, বাকিরা খুশিই হবে।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রামপঞ্চায়েত। তারই মধ্যে পড়ে পুরাতন পান্ডা পাড়া। সেখানকার ১৭/১৫৫ নম্বর আসন থেকে লড়ছেন মিমির বড় মামি কান্তা চক্রবর্তী, মেজ মামি পর্ণা নাগ চক্রবর্তী ও ছোট মামি পুনম চক্রবর্তী। প্রথমজন কংগ্রেসের মুখ, দ্বিতীয়জন সিপিএমের, তৃতীয়জনের প্রতীক ঘাসফুল। তিনজনই মনোনয়ন পেশ করেছেন ইতিমধ্যেই। প্রচারও চলছে জোর কদমে। তবে রাজনীতির রং যেন সম্পর্কের রঙে বিভাজন না সৃষ্টি করতে পারে তা নিয়ে সকলেই সতর্ক।
আরও পড়ুন – ভোটের আগেই বাঁকুড়ার চার পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের বোর্ড গঠন, থাবা ‘গেরুয়া গড়ে’ও।
এ বাড়ির তৃণমূল সদস্য রাম চক্রবর্তীর কথায়, “রাজনীতির সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক কখনও আমরা গুলিয়ে ফেলি না। বাইরে যে যার জন্যই গলা ফাটাক না কেন, ভিতরে আমরা সকলে এক।” কংগ্রেস প্রার্থী কান্তা চক্রবর্তীর কথায়, রাজনীতির লড়াই বাড়ির বাইরে সেরেই ঘরে আসেন তাঁরা।