দিঘা এবং ডায়মন্ড হারবার মোহানায় টন টন ইলিশ , কলকাতার বাজারে দাম কত ? মাছে-ভাতে বাঙালির আক্ষেপ তা হলে কিছুটা হলেও মিটতে শুরু করল! রবিবারের সকালে মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরির মধ্যে শহরের বাজারে বাজারে ইলিশের জোগান অন্তত তেমনই ইঙ্গিত দিল। দাম ওমান নিয়ে কিছুটা আক্ষেপ থাকলেও পর্যাপ্ত ইলিশের জোগান হাসি ফোটাল ব্যাগ হাতে বাজার ফেরত বাঙালির মুখে।তাই মরসুমের শুরুর দিকে বাজারে ইলিশের জোগান থাকলেও দামের আঁচে কিছুটা হলেও ম্লান হয়েছে আমজনতার হাসি।
সপ্তাহখানেক হল, শহরে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কিন্তু বাদলা দিনে পাতে ইলিশের জোগান তেমন না থাকায় অন্য মাছের দিকে বাধ্য হয়েই ঝুঁকতে হচ্ছিল বাঙালিকে। সপ্তাহ দুয়েক যাবৎ শহরের কয়েকটি বাজারে অল্প কিছু ইলিশ মিললেও দামে কার্যত হাত পুড়ছিল। তবে গত কয়েক দিন ধরে দিঘা এবং ডায়মন্ড হারবার মোহনায় মৎস্যজীবীদের জালে টন টন ইলিশ ওঠায় কলকাতার বাজারগুলিতে শেষমেশ পর্যাপ্ত ইলিশের দেখা মিলছে। এমনকি, এ দিন বাজারে মরসুমের সব থেকে বেশি ইলিশ ছিল বলেও দাবি করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। আগামী কয়েক দিন ইলিশের এই জোগান বজায় থাকবে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন – ভারতীয় দলের আয়ার্ল্যান্ডে সফরে টিম ইন্ডিয়ার কোচ হিসেবে যাবেন কে?
এ দিন সকাল থেকে মানিকতলা, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, কসবা, ভবানীপুর, আশুবাবুর বাজার-সহ শহরের একাধিক বাজারে দেখা মিলেছে পর্যাপ্ত ইলিশের। ওজনের রকমফেরে দামও প্রতিটি বাজারে ছিল কার্যত একই। এ দিন বাজারে ৬০০-৭০০ গ্রাম ওজনের মাছের জোগান ছিল সব চেয়ে বেশি। কেজিপ্রতি ওই ওজনের ইলিশ এ দিন বিক্রি হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। অন্য দিকে, ৫০০ গ্রামের আশপাশের ওজনের ইলিশের দাম ছিল আরও কম। মানিকতলা বাজারে এ দিন সেই ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজিতে। তবে বড় মাপের ইলিশের দাম ছিল অনেকটাই বেশি। এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে ক্রেতাকে প্রায় ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা খসাতে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।