“জি-২০ সামিট আয়োজিত সফল হয়েছে”, ভারতের প্রশংসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মুখে। গত ১০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে জি-২০ সামিট। ভারতের দিল্লীতে বসেছিল। এই সামিট থেকে দেশে ফেরার পর মার্কিন প্রশাসন ভারতের প্রশংসা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে নয়া দিল্লিতে আয়োজিত জি-২০ সামিট (G-20 Summit) সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছে। এমনই মত মার্কিন প্রশাসনের। তাই সাংবাদিক বৈঠক করে জি-২০ সামিটের দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন মার্কিন প্রশাসনের (US) মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। ওয়াশিংটনেই সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি যে, এটা (নয়া দিল্লিতে আয়োজিত জি-২০ সামিট) সফল হয়েছে।জি-২০ একটা বড় প্রতিষ্ঠান। রাশিয়া এবং চিনও জি-২০-র সদস্য।”
মূলত, জি-২০-র সফলতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেই ভারতকে দরাজ সার্টিফিকেট দেন মার্কিন প্রশাসনের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। জি-২০ সামিট নিয়ে নয়া দিল্লির তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, তারও প্রশংসা করেন মিলার। তিনি বলেন, “এখানে (জি-২০) বিভিন্ন মতামতের সদস্য আছেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই সংস্থাটি এমন একটি বিবৃতি জারি করতে সক্ষম হয়েছিল যা আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বকে সম্মান করার আহ্বান জানায় এবং এই নীতিগুলি লঙ্ঘন করা উচিত নয় বলে জানায়।” এমনকি ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রসঙ্গ তোলা হলেও রাশিয়ার নাম নেওয়া হয়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ প্রায় এক বছর জেলবন্দী অনুব্রত, জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি থেকে বাদ কেষ্ট-অনুগামীরা, বাড়ছে জল্পনা
নয়া দিল্লির তরফে দেওয়া বিবৃতিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ প্রসঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়েও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। পরিশেষে নয়া দিল্লির জি-২০ সামিট মঞ্চ থেকে সকল সদস্যকে ‘এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যতের’ অঙ্গীকার নেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়। যার বিশেষ প্রশংসা করেছে চিনও। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফেও মিলল সার্টিফিকেট।
ভারতের সভাপতিত্বে এবারেই প্রথম জি-২০ সামিট আয়োজিত হয়। গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দু-দিন ব্যাপী নয়া দিল্লির ‘ভারত মণ্ডপম’-এ সামিট বসে। চিন ও রাশিয়া বাদে জি-২০-ভুক্ত সকল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাই সামিটে অংশগ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে এই সামিট থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রীবৃদ্ধি, ডিজিটালাইজেশন, জলবায়ুর স্থিতিস্থাপকতা এবং বিশ্বব্যাপী সকলকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এরপর আগামী বছরের জি-২০ সামিটের দায়িত্বভার ব্রাজিলের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।