বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose) প্রয়াণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বুধবার সকালে বাংলায় ট্যুইট করে তিনি ক্ষুদিরামের উদ্দেশে প্রণাম জানান। এর আগেও বাংলায় টুইট করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এদিন ফের বাংলার অমর বিপ্লবীকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বাংলাতেই ট্যুইট করলেন তিনি।
অমিত শাহ (Amit Shah) লেখেন, ”যখন ‘বন্দে মাতরম্’ ধ্বনিও রাজদ্রোহের সামিল ছিল, তখন তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর সাহস ও দেশপ্রেম বৃটিশ শাসনের শিকড় নাড়িয়ে দিয়েছিল। ভয় পেয়ে অল্প বয়সেই ব্রিটিশরা তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়। দেশের জন্য তাঁর ত্যাগ, নিষ্ঠা ও বলিদান প্রশংসনীয়। এমন অমর শহিদকে শত কোটি প্রণাম।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ডিসেম্বরে ক্ষুদিরাম বসুর (Khudiram Bose Death Anniversary) মাসির বাড়িতে থাকা ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মাল্যদান করেছিলেন অমিত শাহ। কথাও বলেছিলেন ক্ষুদিরামের বংশধরদের সঙ্গে। তাঁদের উত্তরীয় দিয়ে সম্মান প্রদান করেছিলেন তিনি। সেই সময়ও ক্ষুদিরাম বসুর বিপুল প্রশস্তি শোনা গিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে। তিনি জানিয়েছিলেন, ”ক্ষুদিরাম বসু কেবল বাংলার নন, তিনি ভারতেরও। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান ভারতবাসী কখনও ভুলবে না।”
যখন ‘বন্দে মাতরম্’ ধ্বনিও রাজদ্রোহের সামিল ছিল, তখন তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর সাহস ও দেশপ্রেম বৃটিশ শাসনের শিকড় নাড়িয়ে দিয়েছিল। ভয় পেয়ে অল্প বয়সেই ব্রিটিশরা তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়। দেশের জন্য তাঁর ত্যাগ, নিষ্ঠা ও বলিদান প্রশংসনীয়।
এমন অমর শহিদকে শত কোটি প্রণাম। pic.twitter.com/2ShYVa1pBi
— Amit Shah (@AmitShah) August 11, 2021
এদিন ক্ষুদিরাম বসুর মৃত্যুদিনে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)। তাঁর পোস্টে ক্ষুদিরামের ছবিতে লেখা রয়েছে ‘প্রয়াণ দিবসে সশ্রদ্ধ প্রমাণ’। সেই সঙ্গে রয়েছে সেই অমর গান যা ক্ষুদিরামের আত্মবলিদানের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে বাঙালি মননের সঙ্গে- ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী’।
১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসি হয়েছিল। প্রফুল্ল চাকির সঙ্গে মিলে ব্রিটিশ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা করলেও শেষ পর্যন্ত গাড়ি চিনতে ভুল করায় নিজেদের পরিকল্পনায় সফল হননি কিশোর ক্ষুদিরাম। তাঁর ছোঁড়া বোমায় মৃত্যু হয় মিসেস কেনেডি ও তাঁর কন্যার। প্রফুল্ল চাকী আত্মহত্যা করলেও ক্ষুদিরাম গ্রেফতার হয়েছিলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তাঁর ফাঁসি আজও ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হয়ে রয়েছে।