কেন্দ্র জেলে পাঠালেও, কেষ্ট এখনও কেন জেলা সভাপতি? মমতাকে প্রশ্ন শাহের,বাংলার রাজনীতিতে বীরভূমের সঙ্গে প্রায় সমার্থক অনুব্রত মণ্ডলের নাম। জেলা জুড়ে তাঁর দাপট কারও অজানা নয়। এবার বীরভূমে এসে খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখেও শোনা গেল তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডলের কথা। অনুব্রতকে গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে এখনও জেলা সভাপতি পদে রেখেছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, সেই প্রশ্ন তুলেন দিলেন অমিত শাহ। শুক্রবার বীরভূমের জনসভা থেকে একের পর এক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে এদিন আক্রমণ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গরু পাচারের অভিযোগে যাঁকে কেন্দ্রীয় সরকার জেলে পাঠিয়েছে, তাঁকে কেন এখনও জেলা সভাপতি করে রেখেছেন মমতা?’
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলায় গত বছর সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হন অনুব্রত। পরে একই মামলায় তাঁকে জেরা করতে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি। বর্তমানে তিনি তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল, দিল্লি যাওয়ার পর অনুব্রতকে জেলা সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বীরভূম নিয়ে বৈঠক হলেও স্বপদেই বহাল রয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। আর অনুব্রত-হীন বীরভূমের হাল নিজে হাতে ধরবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পঞ্চায়েতের আগে অনুব্রতকে ছাড়া বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন কতটা মজবুত থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে।
আরও পড়ুন – দিদি আপনি যতই ভাইপোকে মুখ্যমন্ত্রী করার স্বপ্ন যতই দেখুন……মমতাকে তোপ শাহের
এদিন অমিত শাহের ভাষণের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল দুর্নীতির তোপ। নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু পাচার, সব প্রসঙ্গই এদিন বক্তব্যে টেনে এনেছেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, ‘এত দুর্নীতি হয়েছে যে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বাংলা থেকে দুই ট্রাক টাকা নিয়ে গিয়েছে।’ সেগুলো সব দরিদ্র মানুষের টাকা বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রশ্ন ছু়ড়ে দিয়েছেন, এত দুর্নীতির পরও মমতা সরকারকে কি রাখা যায়? অমিত শাহ মনে করিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি বাংলায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই করছে, তার জন্য আজ জেলে রয়েছেন বাংলার নেতারা।