রেলের সিগন্যাল বিভাগের কর্মীরা টানা ১২ ঘণ্টা কাজ করেন! ‘কড়া’বার্তা দিল কলকাতা হাই কোর্ট। নির্দিষ্ট সময়ের বেশি কাজ করানো উচিত নয় কর্মীদের। অতিরিক্ত কাজ তাঁদের অবসাদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। রেলকর্মীদের করা এক জনস্বার্থ মামলায় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাই কোর্টের। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, বরাদ্দ সময়ের বেশি কাজ করানো উচিত নয় কর্মীদের। সময়ের অতিরিক্ত কাজ অবসাদের কারণ হতে পারে। ফলে তার প্রভাব কাজের উপরই পড়বে। হাই কোর্ট বলে, ‘‘আশা করছি উচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ মাথায় রাখবেন রেল কর্তৃপক্ষ। সেই মতো তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন। নিশ্চিত করবেন কর্মীদের বরাদ্দ সময়ের বেশি কাজ করাবেন না।’’
হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, রেলের সিগন্যাল ব্যবস্থার সঙ্গে যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে। তা কখনওই বিঘ্নিত হওয়া উচিত নয়। এই দিকটির গুরুত্ব বুঝে কর্মীদের সময়ের অতিরিক্ত কাজ যাতে না করানো হয় তা নিশ্চিত করবেন রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন – তাপপ্রবাহ আর কত দিন? বৃষ্টি হবে কি? আগামী পাঁচ দিনের পূর্বাভাস জানিয়ে…
পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ ডিভিশনে কর্মীদের অতিরিক্ত কাজ করানো হয় এই অভিযোগ তুলে ২০২১ সালে হাই কোর্টে মামলা করেন কয়েক জন রেলকর্মী। এই কর্মীরা মূলত ট্রেনের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করেন। ফলে ট্রেন চলাচলে তাঁদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মামলাকারী তথাগত দত্তের অভিযোগ, তাঁদের কাজের সময় ৮ ঘণ্টা। কিন্তু প্রায়ই সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায়। কখনও কখনও ১২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। এমনকি অনেক কর্মীর টানা ২৪ ঘণ্টার কাজ করার উদাহরণ রয়েছে। এই কর্মীদের আরও অভিযোগ, অনেক সময় হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে কাজের সময় জানিয়ে দেওয়া হয়। রেলের তরফে বলা হয়, কোভিডের সময় কর্মীর অভাবে ১২ ঘণ্টা করে কাজ করানো হত। কিন্তু এখন ৮ ঘণ্টা করেই কাজ করানো হয়।