
পাহাড়ে বুকে রাজনীতির নয়া সমীকরণ তৈরি হলো। বিমল গুরুং-রোশন গিরির অনুপস্থিতিতে দার্জিলিং তথা পাহাড়ের রাশ ছিল বিনয় তামাং ও অনীত থাপার (Anit Thapa) হাতে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর বিনয় তামাং হঠাৎই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছেড়ে দেন। তারপর বিনয় তামাংয়ের সঙ্গী অনীত থাপাও (Anit Thapa) গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ছাড়লেন। শুধু মোর্চা ছেড়েই ক্ষান্ত থাকলেন না তিনি। অবশেষে তিনি গড়লেন নতুন রাজনৈতিক দল।
অনীত থাপার নতুন দলেও জড়িয়ে থাকল গোর্খা-আবেগ। তাঁর নতুন দলের নাম গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা বা জিপিএম। আবার সেইসঙ্গে তাঁর দলের সঙ্গে তিনি জুড়ে দিলেন অল ইন্ডিয়া শব্দ দুটি। নামের প্রতিটি শব্দের কারণও ব্যখ্যা করলেন অনীত থাপা (Anit Thapa) । মোর্চা ভেঙে যেহেতু তিনি দল করছেন, সেইহেতু থাকছে মোর্চা শব্দটি। আর তাঁর দল গোর্খাদের স্বার্থে কাজ করবে। তাই থাকছে গোর্খা শব্দটিও।
শুধু নামকরণেই শেষ নয়, এই নতুন দলের পতাকার রং ও নকশাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে অনীতের দল কার সঙ্গে জোট করবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। বিজেপি না তৃণমূল কোন দলের সঙ্গে পথ চলবে, তা ঠিক করবেন অনীত থাপা। অনীত নিজে এখনও জিটিএ চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। তাই বিজেপির হাত ধরলে তিনি যে জিটিএ চেয়ারম্যান পদ হারাবেন তা আন্দাজ করাই যায়।
আর ও পড়ুন রিয়েলিটি শোয়ে পা রেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিল্পা শেঠি (Shilpa Sethi)
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে সদ্ভাব বজায় রেখে চলবেন। তাহলে পাহাড়ে তাঁর দলের কাজ করাও অনেক সহজ হবে। সেক্ষেত্রে তাঁর তৃণমূলের সঙ্গে থাকার সম্ভাবনাই প্রবল। তাহলে বিমল গুরুংয়ের সঙ্গেও তাঁর বিবাদ থাকবে না। গুরুংয়ের সঙ্গে বিরোধও বাধবে না তাঁর।
এদিকে বিনয় তামাং ও অনীত থাপা দল ছাড়ার পর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ব্যাটন এখন রয়ে গেল বিমল গুরুং ও রোশন গিরিদের হাতেই। বিনয় তামাং সম্প্রতি বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তাই তাঁর ফের বিমলের অধীনে কাজ করার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠেছে। তিনি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চায় ফিরে পূর্বের মতো বিমলের এক হাত হয়ে উঠতে পারেন। আবার তিনি অনীত থাপার দলেও যেতে পারেন। তবে সে সম্ভাবনা যথেষ্ট ক্ষীণ।