শীর্ষ আদালতে এবার গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত বীরভূমের প্রাক্তন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি মামলা। সিবিআই-এর গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে জামিনের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। এর আগে নিম্ন আদালত এবং দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায় তার। শীর্ষ আদালতে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বেলা এম ত্রিবেদির এজলাসে শুনানি তালিকাভুক্ত ছিল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী শুক্রবার।
আরও পড়ুনঃ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বৃষ্টি, তবে কী ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা?
বারবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনেরর মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে। অনুব্রতর আইনজীবীর বক্তব্য ছিল, যে কোনও মূল্যে তাঁর মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই জেলে রয়েছেন। সিবিআই-এর আইনজীবী অবশ্য বারবারই অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করেছিলেন। সিবিআই-এর বরাবরই বক্তব্য, ”উনি ভীষণই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই সময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।” বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাঁড়া করেছিলেন। সিবিআই-এর বরাবরই বক্তব্য, ”উনি ভীষণই প্রভাবশালী ব্যক্তি। তদন্ত এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই সময় তাঁকে জামিন দেওয়া হলে স্বাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।”
এর আগে অনুব্রতর সিবিআই- বিশেষ আদালত, দিল্লি হাইকোর্টেও অনুব্রতর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে গিয়েছে। সিবিআই-এর বিশেষ আদালত অনুব্রতর আর্জিই সেভাবে শোনেনি।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় গত বছরের অগস্ট মাসে গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতকে। তারপর তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। বর্তমানে তিহাড় জেলেই রয়েছেন তিনি। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও বর্তমানে জেলেই। তিনিও জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদনও চার মাস পিছিয়ে যায়। তাঁর জামিনের আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি। বর্তমানে তিহাড় জেলেই রয়েছেন তিনি। তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও বর্তমানে জেলেই। তিনিও জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিনের আবেদনও চার মাস পিছিয়ে যায়। তাঁর জামিনের আবেদনের পরবর্তী শুনানি ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি।
উল্লেখ্য, গরু পাচার মামলার তদন্ত এখন বাংলা থেকে সরে দিল্লিতে গিয়েছে। আসানসোল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত থেকে সরে মামলা গিয়েছে দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। গরু পাচার মামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আর্থিক দুর্নীতি মামলাও। ৪৪/১ সি ধারায় স্থানান্তরের আবেদন করে ইডি। তাতে নিম্ন আদালতের বিচারক সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারপরই মামলা সরে দিল্লিতে।