সশরীরে নেই তবুও অনুব্রত আতঙ্কে হাইকোর্টের দ্বারস্থ এক মানবাধিকার কর্মী

গরু পাচার মামলায় ফের তলব বীরভূমের এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে

প্রায় এক বছর ধরে জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে তার ঠিকানা তিহার জেল। গরু পাচার মামলায় এখনো জামিন পাননি তিনি। তবে সশরীরে রাজ্যে নেই তিনি। গরু পাচার মামলার অভিযোগে তিহাড়ে জেলবন্দি বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তবুও এখনও তাঁর আতঙ্কে জীবন সংশয়ে ভুগছেন এক মানবাধিকার কর্মী।

আরও পড়ুন: “তোমায় ছাড়া ঘুম আসেনা মা,” অভিনেত্রী শ্বেতার পোস্ট ঘিরে জল্পনা

সঙ্গীতা চক্রবর্তী নামে ওই মানবাধিকার কর্মীর অভিযোগ, আবাস যোজনা ১০০ দিনের কাজ জল যোজনা থেকে শুরু করে দরিদ্র অসহায় মানুষের একাধিক দাবি-দাওয়া আদায়ে আন্দোলনের জন্য তাঁকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গুন্ডারা বেদম প্রহার করে। তাঁর দোকান লুঠ হয়েছে। মারধর করে তাঁকে জঙ্গলে আধমরা অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

 

সোমবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলায় এমনই দাবি করেছেন ওই মানবাধিকার কর্মী। তাঁর আরও অভিযোগ, গরিব মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অন্তত ২২ হাজার বার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোনও অদৃশ্য কারণে সমস্ত আবেদন নাকচ করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর প্রশ্ন, “এই ঘটনার পেছনেও ওই দাপুটে নেতার (অনুব্রত মণ্ডল) হাত নেই তো?”

 

বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়েছিলেন মানবাধিকার কর্মী সঙ্গীতা। আদালত অবশ্য জানিয়েছে, বিষয়টি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রাণ সংশয়ের বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টের উপযুক্ত বেঞ্চের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বিষয়টি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চেয়েছিলেন মানবাধিকার কর্মী সঙ্গীতা। আদালত অবশ্য জানিয়েছে, বিষয়টি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রাণ সংশয়ের বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে তাঁকে কলকাতা হাইকোর্টের উপযুক্ত বেঞ্চের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

 

উল্লেখ্য, এবারের দুর্গাপুজোটাও জেলেই কাটাতে হবে অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টকে। বৃহস্পতিবার দিল্লির রাউজ় অ্যাভিনিউ আদালত ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কেষ্টর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। গোরু পাচারে ইডির দায়ের করা মামলায় এদিন অনুব্রতর সঙ্গেই পেশ করা হয় তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন ও এই মামলায় অন্যতম চক্রী এনামুল হককে। এঁরা তিনজনেই আপাতত রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে। পর্যন্ত কেষ্টর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে। গোরু পাচারে ইডির দায়ের করা মামলায় এদিন অনুব্রতর সঙ্গেই পেশ করা হয় তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন ও এই মামলায় অন্যতম চক্রী এনামুল হককে। এঁরা তিনজনেই আপাতত রয়েছেন দিল্লির তিহার জেলে।

en.wikipedia.org

en.wikipedia.org