Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 129
জামিনের আবেদনের দ্রুত শুনান করতে রাজি হল দিল্লি হাইকোর্ট

অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের দ্রুত শুনানি করতে রাজি হল দিল্লি হাইকোর্ট

অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের দ্রুত শুনানি করতে রাজি হল দিল্লি হাইকোর্ট

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের দ্রুত শুনানি করতে রাজি হল দিল্লি হাইকোর্ট ,ভগ্ন স্বাস্থ্যকে হাতিয়ার করে গত বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন ‘বীরভূমের বাঘ’। তাঁর আইনজীবী আদালতে অনুব্রতর স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে আবেদন করেছিলেন যাতে অবিলম্বে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। এর আগে ৭ জুলাই অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ছিল। বুধবার (২৬ এপ্রিল), দিল্লি হাইকোর্ট সেই মামলার শুনানির দিন ১ মাস এগিয়ে আনল। শুনানি নতুন দিন ধার্য হয়েছে ১ জুন। ওই দিন বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার এজলাসে ভগ্নস্বাস্থ্যের প্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডলের করা জামিনের আবেদনের শুনানি হবে।

 

 

 

 

সপ্তাহখানেক আগেই শ্বাসকষ্টের জন্য ফের অনুব্রতকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়েছিল। একধীক শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন জেলবন্দি তৃণমূল নেতা। আদালতে আসলে এখন হুইল চেয়ারে বসেই আসতে হয় তাঁকে। প্রায় মাস দুই ধরে তিহাড় জেলে থাকতে থাকতে মানসিক ভাবেও বেশ বিধ্বস্ত তিনি। উচ্চ আদালতে বারবার মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় ইদানিং বেশ মনমরা হয়ে আছেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেই জানান, ‘শরীর ভাল নেই’। শারীরিক কারণে দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করার পাশাপাশি, তিহাড় জেল থেকে সরিয়ে তাঁকে আসানসোল কারাগারে রেখে তদন্ত করার আবেদনও করেছেন অনুব্রত। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে যেভাবে হোক নিজ জেলায় ফিরতে চাইছেন ‘বীরভূমের বাঘ’।

 

 

 

 

 

গরু পাচার মামলায় প্রথমে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। একাধিক আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে সমান্তরাল তদন্ত শুরু করে ইডিও। আসানসোল জেলে গিয়ে তাঁকে একাধিকবার জেরা করেছিল ইডি এবং সিবিআই-এর আধিকারিকরা। পরে, তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর হয় ইডির আধিকারিকরা। দিল্লি যাত্রা আটকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত। সেই মামলা একাধিকবার পিছিয়েছে। অনেক জলঘোলার পর দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল ইডি। তারপর থেকে প্রায় দেড়েক কেটে গিয়েছে। জামিনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট।

 

 

 

 

 

আরও পড়ুন –  ‘এই পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন কী ভাবে সম্ভব?’ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি…

 

 

 

এর আগেও দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী মণীষ জৈন। সেই ক্ষেত্রে ইডি পর্যাপ্ত নথি জমা দিচ্ছে না এবং অযথা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে আটকে রাখা হয়েছে বলে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের পক্ষ থেকে সেই আবেদনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তি শুনে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ইডিকে চার সপ্তাহের মধ্যে ‘স্ট্যাটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার ভগ্ন স্বাস্থ্য অনুব্রত মণ্ডলকে তিহাড় জেল থেকে মুক্ত করতে পারে কি না সেটাই দেখার। তবে, তার আগে আরও অন্তত একমাস তিহাড়ই তাঁর ঠিকানা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top