মণীশ কোঠারিকে কত বেতন দিতেন অনুব্রত? ইডি-র চার্জশিটে চমকে দেওয়া অনেক তথ্য! ৫০ হাজার মাসিক বেতন! অনুব্রত মণ্ডলের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ) মণীশ কোঠারি, বিদ্যুৎ বরণ গায়েনকে নিয়ে অনুব্রতর চঞ্চল্যকর বয়ান ইডির কাছে। ইডির চার্জেশিটে উল্লেখ, মণীশ কোঠারি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট-এর কাজের জন্য অনুব্রতর থেকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা নিতেন বেতন হিসেবে। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত এই টাকা দিতেন বলে উল্লেখ চার্জেশিটে। মণীশ কোঠারির তত্ত্বাবধানে অনুব্রত ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল সব ব্যবসা করেন বলে দাবি অনুব্রতর।
গরু পাচারে প্রটেকশন মানি কীভাবে বিভিন্ন ব্যবসায় ব্যবহার, আইটি রিটার্ন অনুব্রত ও তাঁর পরিবারের সব কিছু দেখতেন মণীশ কোঠারি, দাবি ইডির।
অনুব্রত ইডির কাছে দাবি করেন, ‘‘মণীশ আমাকে বলে ব্যবসায় কোনটা করা দরকার আর কোনটা উচিত নয়। আমার সব ব্যবসায় মণিশ আমাকে সাহায্য করত।’’ মণিশকে সিএ হিসাবে নয়, পরিবারের সদস্য হিসাবেই দেখতেন অনুব্রত। ব্যবসায় ট্যাক্স রিটার্ন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সব কাজ দেখতেন মণীশ।
অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুৎ বরণ গায়েনকে ‘নিজের ছেলের মতো’ দেখতেন অনুব্রত। অনুব্রতর স্ত্রী এসব কোনও ব্যবসার সঙ্গেই জড়িত ছিলেন না, অনুব্রত বয়ান ইডির চার্জেশিটে উল্লেখ। অনুব্রতর দু’টি ফোন সায়গলের কাছে থাকত। সায়গলের ফোনেও কথা বলতেন। সায়গললে খুব ঘনিষ্ঠ ও পরিবারের মতো মনে করতেন। বীরভূমে ইলামবাজার, সাঁইথিয়া, মুরারি ২, লোহাপুর হল গরু পাচারের মূল হাট, অনুব্রত ইডির বয়ানে দাবি করেন।
আরও পড়ুন – কংগ্রেস বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ অভিষেকের,
পাশাপাশি ইডির চার্জেশিটে সুকন্যা মণ্ডলের চঞ্চল্যকর বয়ান রয়েছে। সুকন্যা ইডিকে জানান ‘‘ভোলে বোম রাইস মিলের ডিরেক্টর বা ম্যানেজারকে আমি চিনি না। বাবা বলতে পারবেন।’’ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল অর্থ জমা রয়েছে কেন সেই বিষয়ে সুকন্যা জানান তাঁর কোনও ধারণাই নেই। তিনি ওই টাকা জমাননি। এমনকি চেকে সই করলেও তিনি জানতেন না কিছু। সব জানতেন তাঁর বাবা। সুকন্যার চঞ্চল্যকর দাবি ইডির চার্জেশিটে।