বাহিনী চেয়ে ফের চিঠি আসানসোল সংশোধনাগারের, এবার কি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন কেষ্ট

বাহিনী চেয়ে ফের চিঠি আসানসোল সংশোধনাগারের, এবার কি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন কেষ্ট ,সূত্রের খবর, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) রবিবার দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর ইডি। তার জন্যই বাহিনী চেয়ে সকাল ১০টা নাগাদ এই চিঠি করা হয়েছে। সূত্রের আরও খবর, কলকাতায় অনুব্রতকে এনে কেন্দ্রীয় হাসপাতালের চিকৎসকদের দিয়ে পরীক্ষা করতে চান তদন্তকারীরা। চিকিৎসকরা সুস্থ ঘোষণা করলে তবেই দিল্লির বিমানের টিকিট কাটা হবে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও কোথায় অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক পরীক্ষা হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।

 

 

তবে, আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারের পক্ষ থেকে অনুব্রতকে দিল্লি রওনা করানোর জন্য বিশেষ ফোর্স বা পুলিশি সুরক্ষা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারকে। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে করা আবেদনের সাড়া পায়নি। গত মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট অনুব্রতর দিল্লিতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের দ্বিতীয়বার সমন জারি করে। সেই সমনের প্রেক্ষিতে আসানসোল সিবিআই আদালত থেকে ইডি ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ অর্থাৎ এনওসি আদায় করে বা দিল্লি নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পায়। অনুব্রতকে দিল্লি রওনা করানোর রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের সেই কপি ও সিবিআই কোর্টের এনওসি কপি ইডির তরফ থেকে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারকে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেই দিল্লি হাইকোর্টে এবং কলকাতা হাইকোর্টে পাল্টা মামলা করা হয় অনুব্রত আইনজীবীর পক্ষ থেকে।

 

 

আরও পড়ুন – দোল এবং হোলির দিন শহরের জলাশয় ও ঘাটগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালাতে নির্দেশ…

 

রবিবার ছুটির দিন। সোমবার ফের আদালত খুলবে। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্ট যাওয়ার একটা শেষ চেষ্টা করা হতে পারে অনুব্রত আইনজীবীর পক্ষ থেকে। সেক্ষেত্রে আসানসোল পুলিশের পক্ষ থেকে আজ কোনও বাহিনীর ব্যবস্থা করা হয় কিনা, সেটাই দেখার।

 

 

সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্ট এবং দিল্লি হাইকোর্টের রায়ের কপি ফের ইডি শনিবার রাতে ইমেইল মারফত পাঠিয়ে দেয় আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে। রবিবার আসানসোল সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ উচ্চ আদালতের সেই কপি অ্যাটাচমেন্ট করে ফের সুরক্ষা ব্যবস্থা চেয়ে রিকুইজিশন পাঠিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের কাছে। কিন্তু রবিবার বেলা গড়ালেও পুলিশের তরফ থেকে জেল কর্তৃপক্ষকে কোন সদুত্তর দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক মহল ও ওয়াকিবহাল মনে করছেন, জেল কর্তৃপক্ষের আবেদনে সুরক্ষা ব্যবস্থা না করে দিল্লি রওনার ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে।