আপাতত তিহাড়ে থাকতে হচ্ছে অনুব্রতকে, পিছল জামিনের আবেদন মামলা, দিল্লি হাইকোর্টে আবারও পিছল অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের মামলা। বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার বেঞ্চে তাঁর জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি ছিল। আগামী ২৯ মার্চ এই মামলার শুনানি। তাই আপাতত তিহাড়ের সাত নম্বর সেলই থাকতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। যেখানে তাঁর সঙ্গী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিও। গরু পাচার মামলায় প্রথমে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলাটি সমান্তরালভাবে তদন্ত করছিল ইডিও। একাধিক আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি। আসানসোল সিবিআই জেলে গিয়ে একাধিক জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। বেশ কিছু বিষয়ে উত্তর অধরা থাকায় শেষে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) শোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছিল ইডি। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর হয় ইডি আধিকারিকরা। তারপর অনেক জলঘোলা। অনুব্রতও (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা আটকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলা একাধিকবার পিছোতে থাকে। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশে শেষমেশ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যেতে পারে ইডি।
এখনও দিল্লি হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)জামিনের আবেদন। কিন্তু কোনও না কোনও কারণে সেই মামলা পিছিয়ে যাচ্ছে বারবারই। সূত্রের খবর, এদিনও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই কেষ্টর জামিনের পক্ষে সওয়াল করতেন আইনজীবী। সঙ্গে আরও বেশ কয়েকটি বিষয়কে আদালতের দৃষ্টিতে আনার কথা ছিল। দু’মাস পরেও চার্জশিট দেওয়া হয়নি, রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার, ইডির গ্রেফতারের পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ, প্রোডাকশন ওয়ারেন্টর বৈধতা নিয়েও সওয়াল করতেন অনুব্রতর আইনজীবী। সেই প্রস্তুতি সাড়াও ছিল। কিন্তু মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় আপাতত তিহাড়ের খাবারই খেতে হবে অনুব্রতকে (Anubrata Mondal)।
আরও পড়ুন – তৃণমূলের সবাই সাধু-পুরুষ নয়, খারাপ লোকও আছেন, নিজের দলেরই বিরুদ্ধে এবার একপ্রকার…
(সব খবর , ঠিক খবর , প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং Youtube )