অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বেতন বন্ধ করল পর্ষদ! অভিযোগ মাসের পর মাস স্কুলে না গিয়েই টাকা নিয়ে গিয়েছেন

অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বেতন বন্ধ করল পর্ষদ! অভিযোগ মাসের পর মাস স্কুলে না গিয়েই টাকা নিয়ে গিয়েছেন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের বেতন বন্ধ করল পর্ষদ! অভিযোগ মাসের পর মাস স্কুলে না গিয়েই টাকা নিয়ে গিয়েছেন, বীরভূমের বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)বাড়ি। সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সুকন্যা মণ্ডল (Sukannya Mondal)ওই স্কুলেরই শিক্ষিকা। বেতন বন্ধ হয়ে গেল সুকন্যা মণ্ডলের। গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের বিরুদ্ধে স্কুলে না গিয়ে বাড়ি বসে বেতন নেওয়ার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই গত জানুয়ারি মাস থেকে সুকন্যার বেতন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

 

 

 

বীরভূমের (Birbhum) বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় অনুব্রতের বাড়ি। সেখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। সুকন্যা (Sukanya Mondal) ওই স্কুলেরই শিক্ষিকা। অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরেই অভিযোগ ওঠে, সুকন্যা স্কুল যান না। সই করার জন্য তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে বাড়িতেই পৌঁছে যেত স্কুলের রেজিস্টার খাতা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সুকন্যাকে তলবও করেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhay)।বাবার গ্রেপ্তারির পর থেকে বাবার নিচুপট্টির বাড়িতেই রয়েছেন অনুব্রতকন্যা। একজন পরিচারিকা এবং বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কেউই এখন নেই সেখানে। প্রতিবেশীদের দাবি, বাবার গ্রেপ্তারির পর থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সুকন্যা। আর সেভাবে দেখা যায় না তাঁকে। গত মাসছয়েক ধরে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় জীবনযাপন করছেন তিনি।

 

আরও পড়ুন – বাবার মতোই প্রেসিডেন্সি জেলই ঠিকানা! মানিকের স্ত্রী এবং পুত্রকে জেল হেফাজতে রাখার…

 

গত ২০১৪ সালে বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mandal)। গত বছরের আগস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার হন তাঁর বাবা অনুব্রত মণ্ডল। তারপরই শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে ছুটি নেন সুকন্যা। বীরভূম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নাথ জানান, মেডিক্যাল লিভ, পেড লিভ-সহ সমস্ত ছুটিই শেষ হয়ে গিয়েছে সুকন্যার। তারপরেও কেন কাজে যোগ দিচ্ছেন না, সেই কারণ জানিয়ে চিঠিও পাঠানো হয় তাঁকে। তবে চিঠির কোনও উত্তরই দেননি সুকন্যা। সে কারণে চলতি বছরের শুরু থেকেই তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে কাজে যোগ দিতে হলে শারীরিক অসুস্থতার উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে হবে সুকন্যাকে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, স্কুলে না যাওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জেলার প্রাথমিক শিক্ষকদের স্যালারি শিটের একটি ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। সেটির সত্যতা সাইন টিভি যাচাই করেনি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুকন্যার নামের পাশে লেখা, ‘‘জানুয়ারি ২৩ থেকে বেতন বন্ধ।’’

 

(সব খবর, থেটিক খবর,প্রত্যেক মুহূর্তে ফলো করুন Facebook পেজ এবং  Youtube )

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top