‘শরীর ভাল নেই’, ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ালো অনুব্রত মন্ডলের , আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল্লির সিবিআই বিশেষ আদালত। আগামী ১ মে ফের অনুব্রতকে আদালতে পেশ করতে হবে। অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও আদালতে পেশ করা হবে। সোমবার হুইল চেয়ারে বসে আদালতে যান অনুব্রত। আদালতে সওয়াল জবাবের সময়েও আইনজীবী জানান, অনুব্রতর শারীরিক অবস্থা ভাল নেই। এদিকে, তিহাড় থেকে যাতে মেডিক্যাল রিপোর্ট তড়িঘড়ি প্রস্তুত করা যায়, সে ব্যাপাকে আইনজীবীকে অনুরোধ করেন অনুব্রত। সূত্রের খবর, শারীরিক অবস্থার কারণ দেখিয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে জামিনের আবেদন করতে আইনজীবীকে বলেন অনুব্রত। জেল হেফাজতের মেয়াদবৃদ্ধির পর আদালত থেকে হতাশ মুখে বেরন তৃণমূল নেতা। তিনি জানান, “শরীর ভাল নেই।”
গরু পাচার মামলায় প্রথমে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলাটি সমান্তরালভাবে তদন্ত করছিল ইডিও। একাধিক আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় অনুব্রতের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি। আসানসোল সিবিআই জেলে গিয়ে একাধিক জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। বেশ কিছু বিষয়ে উত্তর অধরা থাকায় শেষে অনুব্রতকে শোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছিল ইডি। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যেতে তৎপর হয় ইডি আধিকারিকরা। তারপর অনেক জলঘোলা। অনুব্রতও দিল্লি যাত্রা আটকাতে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেই মামলা একাধিকবার পিছোতে থাকে। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশে শেষমেশ অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারে ইডি। তারপর থেকে কেটে গিয়েছে দেড় মাস। এখনও জামিনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কেষ্ট।
আরও পড়ুন – জীবনকৃষ্ণের ‘অত্যাচারে অতিষ্ঠ’ বাবা বিশ্বনাথ,ঘুষ খেয়ে অন্য জনকে দিয়েছে আমার লাইসেন্স!
মাস দেড়েক হয়ে গেল, অনুব্রত তিহাড়েই রয়ে গিয়েছে। উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন তাঁর বারবার পিছিয়েছে। দৃশ্যত কেষ্টকে এখন বেশ বিধ্বস্তই লাগে। সোমবার যখন আদালতে পেশ করা হয়, তখনও তাঁকে বেশ মনমরাই দেখা গিয়েছে তাঁকে। জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর যখন তাঁকে হুইলচেয়ারে বার করে আনা হচ্ছিল, তখনও সাংবাদিকদের বলেছেন একটাই বাক্য, ‘শরীর ভাল নেই…’ সামনেই যে পঞ্চায়েত নির্বাচন, আগে এই সময়ে জেলায় থাকলে ‘গেম প্ল্যান’সাজাতেন তিনি, এখন তিনিই আইনজীবীদের সঙ্গে আইনের মারপ্যাঁচ নিয়ে আলোচনা সারছেন কীভাবে সম্ভব জামিন পাওয়া!