কয়লা খনিতে জোরাল বিস্ফোরণ যার জেরে রানিগঞ্জে ফাটল একাধিক বাড়িতে, খোলামুখ খনিতে কয়লা খননের জন্য হচ্ছে জোরাল বিস্ফোরণ। ফেটে যাচ্ছে বাড়ি ঘর। বিশেষ করে খনি অধ্যুষিত আদিবাসী পাড়ায় নামছে ধস। প্রতিবাদে নামলেন গ্রামবাসীরা। রানিগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রাম তিরাট অঞ্চলের সাতগ্রাম এরিয়ার নিমচা হাল হাইওয়াল মাইনিংয়ের কয়লা খনিতে আবারও বিক্ষোভ সোমবার। একই দাবিতে বুধবারও দিনভর বন্ধ ছিল উৎপাদন। টিরাট গ্রামীণ এলাকার ৬ টি আদিবাসী পাড়ার অসংখ্য আদিবাসী মহিলা, পুরুষ, বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে ইসিএলের সাতগ্রাম এরিয়ার নিমচা হাইওয়াল মাইনিংয়ের বাইরে ধরনা অবস্থান শুরু করেন। অবিলম্বে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানীয় ও ব্যবহারযোগ্য জল প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতের দাবি ও কর্মসংস্থানের দাবি তুলে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ দেখানোর পশাপাশি কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কয়েক মাস আগেই দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের শীরষা গ্রামে কয়লা উত্তোলনের সময়ে ফাটল ধরায় ১৯টি বাড়িতে ফাটল ধরে। রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেডের খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের সময়ে ফাটল ধরে। সেসময়ে রাতভর বাড়ির বাইরেই কাটাতে হয় তাঁদের। ইসিএল কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেন গ্রামবাসীরা। ইসিএলের দাবি, সেখানে যারা বসবাস করছেন সেটা ইসিএলের জমি। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই জমি কয়েক বছর আগে পাট্টা দিয়েছে রাজ্য সরকার।
ইসিএল কয়লা খনিতে উৎপাদনের জন্য ব্লাস্টিং করছে। সেই কারণে সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করা অসংখ্য আদিবাসী সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের বাড়িতে ফাটল ধরছে। একইভাবেই সংলগ্ন এলাকায় জলাশয়গুলির জল শুকিয়ে যাছে। এলাকার যুবকদের ওই কয়লা খনিতে কাজ দেওয়ার কথা থাকলেও, তাঁদের কোনও কাজ দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন- আগামী সপ্তাহে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ, জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
অবিলম্বে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ, পর্যাপ্ত পানীয় ও ব্যবহারযোগ্য জল প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতের দাবি ও কর্মসংস্থানের দাবি তুলে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন গ্রামবাসীরা। বিক্ষোভ দেখানোর পশাপাশি কয়লা খনির উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়।