
ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রাণভয়ে আফগানিস্তান ছেড়েছেন সদ্য প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি (Ashraf Ghani) । অবশেষে স্বীকার করলেন তিনি। রবিবার তালিবানরা কাবুলে ঢুকে পড়ার আগেই আফগানিস্তান ছেড়েছেন ঘানি (Ashraf Ghani) । বিগত প্রায় দিন তিনেক সেভাবে খোঁজই মেলেনি তাঁর। একাধিক দেশে প্রত্যাখ্যাত হওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আশ্রয় পেয়েছেন ঘানি।
সেখান থেকেই ফেসবুকে এক ভিডিও পোস্ট করে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ঘানি।সদ্য পলাতক আফগান প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, দেশে থাকলে তালিবানরা তাঁকে হয় পিটিয়ে মেরে ফেলত না হয় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মহম্মদ নাজিবুল্লাহর মতো প্রকাশ্যে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে দিত। তাই চাপে পড়েই তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তবে, আপাতত দেশ ছাড়লেও তিনি দ্রুতই আফগানিস্তানে ফিরতে চান বলে দাবি করেছেন ঘানি।
সেই সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পত্তি চুরির যে অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল, সেটাও অস্বীকার করেছেন ঘানি (Ashraf Ghani) । তাঁর বক্তব্য, তাঁর বিরুদ্ধে চপারে করে টাকা-পয়সা নিয়ে পালানোর অভিযোগ মিথ্যা। কারণ, টাকা পয়সা নিয়ে পালাতে গেলে আমিরশাহীর বিমানবন্দরের কাস্টমস বিভাগেই তিনি আটকে যেতেন। ঘানির দাবি, পরনের কাপড় ছাড়া আফগানিস্তান থেকে আর কিছুই নিয়ে যাননি তিনি।
এই মুহূর্তে প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং আবদুল্লাহ আবদুল্লাহর মধ্যস্থতায় সরকার গঠনের যে চেষ্টা চলছে, সেই চেষ্টাকে সাধুবাদ দিয়েছেন ঘানি। তিনি যে এই সরকারকে সমর্থন করবেন সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন।
সদ্য পলাতক আফগান প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, “আমি চাই এই চেষ্টা সফল হোক। আমি নিজেও আফগানিস্তানে ফিরতে কথাবার্তা চালাচ্ছি, যাতে আফগানবাসী ন্যায়বিচার পান। ইসলামিক এবং জাতীয়তাবাদী মূল্যবোধের জয় হয়।” ঘানির বক্তব্য, “স্রেফ ক্ষমতার লোভে কাবুলকে সিরিয়া বা ইয়েমেন হতে দেওয়া যাবে না। আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে। ওখানে থাকলে রক্তপাত ঘটতই।”প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্টের দাবি, তালিবানদের কাবুল দখল আফগান সেনার ব্যর্থতা নয়।
বরং, তাঁর সরকারের শীর্ষ আধিকারিক এবং দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা। তাঁর দাবি, তালিবানদের সঙ্গে আগেই চুক্তি হয়েছিল, তাঁরা কাবুলে ঢুকবে না। তা সত্ত্বেও তাঁরা প্রেসিডেন্ট ভবনের ফটক পর্যন্ত চলে আসে। আমি চটি খুলে বুটটা পরারও সময় পাইনি। এটা আফগান সেনার ব্যর্থতা নয়। আমার সরকারের প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং আন্তর্জাতিক মহলের ব্যর্থতা।”