গত প্রায় দের বছর ধরে করোনার জেরে বিদ্ধস্ত গোটা বিশ্ব। ঠেলে দিয়েছে ‘চরম দরিদ্রতার দিকে। গত বছরের তুলনায় করোনা ভাইরাস এশিয়ার ( Asia ) আরও প্রায় সাড়ে সাত কোটি থেকে আট কোটি মানুষকে ঠেলে দিয়েছে ‘চরম দরিদ্রতা’য় । মঙ্গলবার প্রকাশিত এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক বা এডিবির এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারির কারণে (আর্থিক) বৈষম্য বেড়েছে; বিশেষ করে চরম দরিদ্রতা বেড়ে গেছে।
প্রতিদিন ১ দশমিক ৯০ ডলার আয় করা ব্যক্তিদের প্রতিবেদনে চরম দরিদ্রতার ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে।‘কি ইন্ডিকেটরস্ ফর এশিয়া ( Asia ) এন্ড দ্য প্যাসিফিক ২০২১’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মহামারি এশিয়ার ( Asia ) ও প্রশান্তমহাসাগরীয় এলাকায় নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র বা এসডিজি অর্জনকে হুমকিতে ফেলেছে। প্রতিবেদন জানায়, এশিয়ার যেসব এলাকায় ক্ষুধা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা গিয়েছিল, মহামারির কারণে সেগুলোর অগ্রগতিও স্তব্ধ হয়ে গেছে।
এডিবি তাদের ৪৯ আঞ্চলিক সদস্য দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক, সামাজিক ও পরিবেশগত পরিসংখ্যান বিস্তারিত মূল্যায়ন করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মোট জনসংখ্যার ৫ দশমিক ২ শতাংশ বা ২০ কোটি ৩০ লাখ মানুষ চরম দরিদ্রতায় জীবনযাপন করছেন (২০১৭ সাল পর্যন্ত)। যদি কোভিড-১৯ হানা না দিতো, তাহলে ২০২০ সাল নাগাদ এ হার ২ দশমিক ৬ শতাংশ হ্রাস পেতো।
আর ওপড়ুন শিলিগুড়ির পর্যটনে বিশেষ আকর্ষণ বেঙ্গল সাফারিতে (Bengal Safari) ৪ বছরে ৭ টি বাঘ
এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ ইয়াসুউকি সাওয়াদা বলেন, এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল যতেষ্ট অগ্রগতি করছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ এ অঞ্চলের যে আর্থ-সামাজিক চ্যুতি রেখাকে উন্মোচিত করেছে, যা অঞ্চলটির টেকসই এবং সর্বত্রব্যাপী উন্নয়নকে দুর্বল করে দিতে পারে। এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ জানান, ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পেতে হলে দারিদ্র ও দুর্বলদেরও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হবে।