
সোমবার ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ( assembly ) ব্যাপক হৈচৈ হয়েছিল। নামাজের জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ নিয়ে বিধানসভা প্রাঙ্গনে হৈচৈ হয়। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়করা তোলপাড় সৃষ্টি করেন। নামাজের জন্য রুম বরাদ্দ বাতিলের দাবি জানানো হয়। শুধু তাই নয়, বিজেপি বিধায়করাও বিধানসভায় ভজন-কীর্তন শুরু করেছিলেন।
সোমবার সকাল থেকেই বিধানসভায় ( assembly ) ছিল ভক্তির পরিবেশ। বিজেপি বিধায়করা ঢোল-মঞ্জিরা নিয়ে বিধানসভায় পৌঁছেছিলেন। সেখানে বিধায়করা কখনও ‘হরে রাম-হরে কৃষ্ণ’ এবং কখনও ‘হর হর মহাদেব’ এবং ‘জয় শ্রী রাম’ গাইছিলেন। দেওঘরের বিজেপি বিধায়ক নারায়ণ দাস পুরোহিত হিসেবে গিয়েছিলেন। বিজেপি বিধায়করা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, নামাজের জন্য রুম বরাদ্দের আদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত অথবা বিভিন্ন ধর্মের জন্য রুম না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে।
আর ও পড়ুন মাদকাসক্তদের দখলে রাতের এনজেপি প্লাটফর্ম ও ওভারব্রিজ ( overbridge )
কেবল সমাবেশের বাইরে নয়, ভিতরেও প্রচুর হৈচৈ হয়েছিল। বিধানসভার ( assembly ) কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বিধায়করা ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে গিয়ে কূপের কাছে গেলেন। এর পরে স্পিকার রবীন্দ্র নাথ মাহাতো বিধায়কদের ফিরে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গোলমাল চলতে থাকে। শেষ পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
বিজেপির এই হৈচৈ প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্ত বলেন, ধর্মের নামে উন্মাদনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যা ভুল। একই সময়ে, কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি বলেছিলেন যে বিজেপি মুদ্রাস্ফীতি এবং কর্মসংস্থানের মতো জনস্বার্থ সম্পর্কিত সমস্যা থেকে জনগণকে সরিয়ে দিতে চায়।
সংবাদ সংস্থার মতে, সম্প্রতি স্পিকার বিধানসভায় প্রার্থনার জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ করেছেন, তার পরে বিজেপি বিধানসভা প্রাঙ্গণে হনুমান মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় নির্মাণের দাবি জানিয়েছে। রবিবারও ঝাড়খণ্ড সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক হৈচৈ হয়েছিল। বিজেপি কর্মীরা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং স্পিকার রবীন্দ্র নাথ মহ্তোর কুশপুত্তলিকা পোড়ায়।