বিয়ের রেজিস্ট্রি নিয়ে নয়া নিয়ম চালু, ঝক্কি কমতে চলেছে যুগলদের? ঠিক কী জানা যাচ্ছে? যুগলদের ঝক্কি কমাতে নয়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। এবার রাজ্যে চালু হতে চলেছে ‘তৎকাল বিয়ে’। অর্থাৎ সামাজিকভাবে বিয়ে করার একদিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি সেরে ফেলা সম্ভব হবে। এর আগে একমাত্র দিল্লিতে এই নিয়ম চালু ছিল। এবার একই পথে হাঁটতে চলেছে বাংলাও।
বর্তমানে চালু নিয়ম…
উল্লেখ্য, বর্তমানে কোনও যুগল সোশ্যাল ম্যারেজ বা সামাজিকভাবে বিয়ে করার আগে যদি রেজিস্ট্রি করতে চান সেক্ষেত্রে তাঁদের কমপক্ষে এক মাস আগে আবেদন প্রক্রিয়া সেরে ফেলতে হয়। কিন্তু, এবার সামাজিক বিয়ের এক দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা যাবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, শুধুমাত্র হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টেই তৎকাল বিয়ে সম্ভব।
কী কী উপকার হতে চলেছে?
এই নতুন নিয়মের ফলে যুগলদের ঝক্কি অনেকটাই কমবে এবং অল্প সময়ের মধ্যে তাঁরা রেজিস্ট্রি করাতে পারবেন। ফলে তাঁদের সময়ও অনেকটাই বাঁচবে। পাশাপাশি যে সমস্ত যুগলরা বিদেশে বা কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে বড় সুবিধা হতে চলেছে।সামাজিকভাবে বিয়ে সম্পন্ন করার পর তাঁদের আর আট দিনে অপেক্ষা করতে হবে না। জানা গিয়েছে, এই নিয়ম বদল সংক্রান্ত খসড়া তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়া গেলেই রাজ্যে শুরু হবে তৎকাল বিয়ে।
একইসঙ্গে লং ডিস্টেন্স কাপলদের জন্যও থাকছে বড় সুযোগ। যে যুগলরা বিদেশে থাকেন তাঁরা অনলাইনে রেজিস্ট্রির জন্য জানাতে পারবেন আবেদন। উল্লেখ্য, এর আগে শুধুমাত্র দিল্লিতে চালু করা হয়েছিল একদিনে বিয়ে বা তৎকাল বিয়ে। সূত্রের খবর, ২০২৪ সাল নাগাদ এই নয়া নিয়ম চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর রেজিস্ট্রি বিয়ে থেকে রাজ্যের কোষাগারে ঢুকেছে প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখ টাকা। বর্তমানে রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে ম্যারেজ রেজিস্ট্রি করালে জমা দিতে হয় ১২৫ টাকা। অন্যদিকে, রেজিস্ট্রার বাড়িতে গেলে সেই টাকা বেড়ে হয় ২২৫। এর আগে জানা গিয়েছিল সাব রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতেই বিয়ে সম্পন্ন করা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি জেলায় চার থেকে পাঁচটি থানার অন্তর্গত এলাকায় থাকে সাব রেজিস্ট্রি অফিস। এতদিন সেখানে জমি বাড়ি রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব হত। এবার সেখানে বিয়ের রেজিস্ট্রেশনও সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন – ১৯ বছর পর বিরল যোগ! শ্রাবণ মাসে মহাদেবের কৃপায় সেরা সময় কাটাবেন…
উল্লেখ্য, বর্তমান সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুয়ায়ী, এখন সামাজিক বিয়ের পর আবেদন করলে রেজিস্ট্রির জন্য এক সপ্তাহ সময় লাগে। অর্থাৎ মোটমাট এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগে সামাজিক বিয়ের পরেও আট দিন। এবার সেই সময় কমতে চলেছে এবং তা এক দিন হতে চলেছে।