ধূলোর চাদরে মুড়ে গিয়েছে বানাহাট,ভোগান্তি। ধূলোর চাদরে মুড়ে গিয়েছে বানাহাট ব্লকের দুরামারির নতুন বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা। অভিযোগ,আর এই ধূলো থেকেই ছড়াচ্ছে বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি। দুরামারি থেকে বানারহাটের মঙ্গলকাটা চা বাগান পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাত কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধানমন্ত্রী গ্রামীন সড়ক যোজনার সারাইয়ের কাজ চলছে। এবছর মার্চ মাস নাগাদ শুরু হয় এই রাস্তার কাজ।
পুরনো রাস্তার উপরের থাকা পিচের অংশ তুলে ফেলে সেই রাস্তার উপরে বালি- পাথর বিছিয়ে প্রথম পর্যায়ের কাজ সেরে ফেলেছিলেন এজেন্সি। তবে তারপর থেকে গত আট মাস ধরে সেই রাস্তার কাজ আর এগোয়নি। কাজ না এগোনোয় শীত পড়তেই ধূলোর সমস্যার জেরে জেরবার হতে হচ্ছে ওই রাস্তা গিয়ে চলাচলকারী যাত্রী থেকে শুরু করে রাস্তার পাশের ব্যবসায়ীদের। বালি- পাথরের মধ্যে থাকা ডোলোমাইট এর ধূলো থেকে ছড়াচ্ছে নানা প্রকার রোগ ব্যাধী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এজেন্সি দিনে দুবার করে ট্যাঙ্কারে জল ভরে এই ধুলো দমানোর কাজ করার কথা থাকলে কোনদিনও রাস্তার ওপর জল দেওয়া হয়নি। জলের অভাবেই বাড়ছে ধূলোর সমস্যা । বর্ষার সময় খুব একটা সমস্যা না হলেও শীত পড়তেই ধূলোর জেরে ব্যাপক সমস্যার পড়তে হচ্ছে দুরামারিবাসীকে। বাজারের দোকানদারেরা ঠিকঠাকভাবে দোকানদারিও করতে পারছেন না এমনটাই দাবি দুরামারির দোকান ব্যবসায়ীদের।
স্থানীয় বাসিন্দা প্রানকৃষ্ণ রায়, তন্ময় সরকার বলেন, ‘ দুরামারি থেকে মঙ্গলকাটা যাওয়ার রাস্তার কাজ অর্ধসম্পাপ্ত অবস্থায় থাকায় জেরে এই এলাকায় ধূলোর প্রকোপে জেরবার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। দ্রুত এই ধূলোর সমস্যার সমাধান করার দাবি জানাই। ’
আরও পড়ুন – মধ্যপ্রদেশে পুরসভা নির্বাচনে বিজেপির বড় জয়
বিজেপির শালবাড়ি – ১ অঞ্চল কনভেনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘ মনে হয় রাজ্য সরকার এই টাকা লুঠ করে ফেলেছে যে কারনে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার এই রাস্তার কাজ হচ্ছে না। ’
তৃনমূল কংগ্রেস পরিচালিত শালবাড়ী ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপিকা ওঁরাও সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে জানান, ‘ আমরা এব্যাপারে জেলা পরিষদের সাথে কথা বলেছি। এজেন্সি যদি দ্রুত কাজ শুরু না করে তাহলে আমরা প্রশাসনিক ভাবে এব্যাপারে জেলাপরিষদে অভিযোগ জানাবো। ’ জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা বর্মণ জানান, ‘ দুরামারির রাস্তার ব্যপারে আমি ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলেছি। এজেন্সি কে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই কাজ শুরু হবে।