
Bangladesh-এর খুলনায় সংখ্যালঘু হিন্দু মতুয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা ও মন্দির ভাঙচুরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় জাহাজ, বন্দর প্রতিমন্ত্রী ও দেশটির অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি ও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে হিন্দু সংখ্যালঘুদের জীবন রক্ষায় তার হস্তক্ষেপও দাবি করেন শান্তনু ঠাকুর। সংখ্যালঘুরা যে সেদেশে বড় হুমকির মধ্যে রয়েছে সেকথাও উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী।
মোদিকে লেখা চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু জানান ‘আতি অত্যন্ত দু:খের সাথে জানাচ্ছি যে গত ৭ আগষ্ট দিবাগত রাত ১.৩০ মিনিট নাগাদ Bangladesh-এর খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে হিন্দু দেবদেবীর মন্দিরে হামলা হয়। হিন্দু মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু ঘর-বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়।’
আর ও পড়ুন আরও ১৫ দিন বাড়ল রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধ, ৩১ Aujust পর্যন্ত চলবে না ট্রেন
তার দাবি ‘ Bangladesh-এ হিন্দু সম্পদ্রায়ের মানুষদের জীবন বিপন্ন। তাদের সম্পদ, বাসস্থান, সম্পত্তি সমাজবিরোধীদের দ্বারা লুন্ঠিত হচ্ছে। ধর্মীয় ও নৈতিক বিশ্বাসের কারনে একটি গোষ্ঠীকে ধ্বংস করা হচ্ছে, ভয় দেখানো হচ্ছে, শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তারা সেখানে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।’
তিনি আরও লেখেন ‘জায়গাটি মতুয়া সম্প্রদায়ের জন্য পবিত্র। বহু দোকান লুট করা হয়েছে, মতুয়া ধর্মের প্রবর্তক ও উপাসনা দেবতা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর, ভগবান গণেশ ও মা দূর্গার বিগ্রহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের গাইঘাটা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক, মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা তথা শান্তনু ঠাকুরের বড় ভাই সুব্রত ঠাকুর। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার ঠাকুরনগরে নিজের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে Bangladesh-এর মাটিতে সনাতন ধর্মালম্বী মানুষের ওর অত্যাচার ও বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি ভাঙার তীব্র প্রতিবাদ জানান।
এদিন বিকালে ওই জেলার হাবড়ায় মতুয়াদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদী মিছিল করা হয়। কোভিড স্বাস্থ্য বিধি মেনেই এদিন বিকালে হাবড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন তেঁতুল তলা বাজার থেকে ওই প্রতিবাদি মিছিল শুরু হয়, শেষ হয় একনম্বর রেলগেট এলাকায়। মিছিল থেকে এই ঘটনায় Bangladesh-এর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপের দাবি তুলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।