দিল্লির ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হল ব্যারিকেড। ব্রিটেনের ভারতীয় দূতাবাসে খলিস্তানপন্থী স্বঘোষিত ধর্মগুরু অমৃতপাল সিংহের সমর্থকদের তাণ্ডবের প্রভাব এসে পড়ল কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরের দিল্লিতে। রাজধানীতে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হল পুলিশের ব্যারিকেড। যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল তাই তুলে নেওয়া হয়েছে, জানিয়েছে পুলিশ। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, যে ভাবে বিনা বাধায় লন্ডনের ভারতীয় দূতাবাসে তাণ্ডব চালিয়েছেন অমৃতপালের অনুগামীরা তাতে ক্ষুব্ধ ভারত। তার জেরেই ব্যারিকেড সরানো হল কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
শনিবার থেকেই অমৃতপালকে ধরতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে পঞ্জাব পুলিশ। তাঁর সংগঠন ‘ওয়ারিস পঞ্জাব দে’-এর সঙ্গে যুক্ত শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে অমৃতপাল এখনও অধরা।
নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সামনে এ ভাবেই ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু বুধবার আচমকা দিল্লির ব্রিটিশ হাই কমিশনের সামনে থেকে সেই ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয়। জানানো হয়, পথচারীদের যাতায়াতে সমস্যা তৈরি করছিল এই ব্যারিকেড। তাই তুলে নেওয়া হল। দিল্লি পুলিশের এক প্রবীণ আধিকারিক সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ব্রিটিশ হাই কমিশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখনও একই রকম আছে। যদিও পথচারীদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করা ব্যারিকেডগুলি তুলে নেওয়া হয়েছে। এতে নিরাপত্তার কোনও সমস্যা হবে না।’’
মুখে এ কথা বললেও প্রশ্ন উঠছে, আচমকা বুধবারই কী করে পুলিশ বুঝল যে ওই ব্যারিকেড থাকায় হাঁটাচলায় সমস্যায় পড়ছেন মানুষ! ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এটি হল ব্রিটিশ সরকারকে কৌশলে বার্তা দেওয়া। যে ভাবে বিনা বাধায় খলিস্তানপন্থীরা লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনে চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে, তা মোটেই ভাল ভাবে নেয়নি নয়াদিল্লি। তাণ্ডব চলাকালীন অমৃতপালের সমর্থকেরা দূতাবাসে টাঙানো ভারতের জাতীয় পতাকা খুলে নেন। সেই দৃশ্য দেখে চমকে উঠেছে ভারত। দিল্লির ব্রিটিশ হাই কমিশনের সামনে থেকে ব্যারিকেড তুলে নেওয়া তারই প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – মধ্যপ্রদেশের সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতকে ‘হিন্দুরাষ্ট্র’ বলে দাবি কৈলাস বিজয়বর্গীয়ের
শুধু দূতাবাসেরই নয়, রাজধানীর ২ নম্বর রাজাজি মার্গে ব্রিটিশ হাই কমিশনার অ্যালেক্স ইলিসের বাড়ির সামনে থেকেও ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয়েছে।