পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ইঁদুরের উপদ্রব ঠেকাতে এক সপ্তাহ সময় রয়েছে। গর্ত বোঁজাতে তল্লাশি ASI-এর , রথযাত্রা উপলক্ষে মাসির বাড়ি যাত্রা করেছেন ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রা। বর্তমানে ফাঁকে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। আর সেই সুযোগে এবার শ্রী মন্দির পর্যবেক্ষণে নামল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। মন্দিরের ভিতর যে গর্তগুলির সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলি থেকে কী ভাবে ইঁদুর ঢুকে পড়ছে, তা খতিয়ে দেখতেই এই তল্লাশি বলে জানা যাচ্ছে। ১২ শতাব্দির এই মন্দিরে বর্তমানে গুরুতর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইঁদুরের উপদ্রব। গোটা শ্রী মন্দির জুড়ে যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে ধেড়ে ইঁদুর। কখনও বিগ্রহের পিছনে আবার কখনও ইতি উতি ছুটে বেড়াচ্ছে ইঁদুর। সেবায়েতদের রীতিমতো তিতিবিরক্ত করে তুলেছে তারা।
এক সপ্তাহ সময় হাতে রয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সদস্যদের কাছে। ইঁদুরের উপদ্রব রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে এর মধ্যেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে আধিকারিকদের। আর তাই বৃহস্পতিবার আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আধিকারিকরা টেকনিক্যাল স্টাফ নিয়ে পৌঁছে যান শ্রী মন্দিরে। টেকনিক্যাল কোর কমিটির সদস্যরা শ্রী মন্দিরের প্রতিটি কোণায় তন্ন তন্ন করে তল্লাশি চালান। মন্দিরের ভিতর যে সংস্কারের কাজ চলছে তা নিয়েও রিভিউ মিটিং করেন এই আধিকারিকরা।
ইঁদুরের উপদ্রব ঠেকাতে একটি ইঁদুর মারার কল দান করতে চেয়েছিলেন এক জগন্নাথ ভক্ত। কিন্তু, ইঁদুর মারার কলের আওয়াজে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং দেবী সুভদ্রার নিদ্রাভঙ্গ হবে, এই অজুহাতে যন্ত্র ব্যবহারে নারাজ ছিলেন সেবায়েতরা।
আরও পড়ুন – যৌনখিদে ও লজ্জা, কোনওটাই আমার নেই বললেন কাজল ,
তাহলে উপায়? আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা মনে করছেন যে সমস্ত গর্ত দিয়ে মন্দিরের ভিতরে ইঁদুর প্রবেশ করছে সেগুলিকে অবিলম্বে খুঁজে বের করে বন্ধ করতে তবে। তবেই এই উপদ্রব থেকে রেহাই মিলবে।