পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরো একবার বিমানবন্দর নিয়ে সুড়সুড়ি নিশীথের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বাজতেই আরো একবার ইসু হয়ে উঠলো কোচবিহার বিমানবন্দর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামানিক আরো একবার সুরসুরি দিলেন বিমানবন্দর নিয়ে। তার কথা অনুযায়ী প্রতিবার রাজ্য সরকার বাধা প্রদান করে, এইবার বাধা দিলে সিআইএসএফ দিয়ে বিমানবন্দর পরিচালনা করা হবে।
তিনি আরো বলেন কোচবিহার বিমানবন্দরের রানওয়ে এক কিলোমিটার, এখানে বড় বিমান নামানো সম্ভব নয় তবে একটি বিমান সংস্থা ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছে কোচবিহার থেকে বিমান পরিষেবা দেওয়ার জন্য। পরবর্তীতে রাজ্যের কাছে জমি চাওয়া হবে যদি রাজ্য জমির বরাদ্দ করে তবে নতুন করে বিমানবন্দর তৈরি করা হবে।
প্রত্যেক নির্বাচনের আগে এই নতুন সুরসুরি কোচবিহার নতুন নয়, ২০১৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২১, ২টি নির্বাচনের ক্ষেত্রেই বিজেপির প্রধান ইস্যু ছিল এই কোচবিহার বিমানবন্দর।
সুতরাং ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ইস্যু আরো একবার সুরসুরি রাখার ধারণ করবে এটাই ধারণা ছিল রাজনৈতিক মহলের। নিশীথ প্রামাণিক স্বীকার করে নেন জামসেদপুরের বিমানবন্দরে কিছু সমস্যা রয়েছে যে সমস্যা কাটিয়ে উঠলেই কোচবিহার থেকে কলকাতা বিমান পরিষেবা চালু হবে। তার এই মন্তব্যের তীব্র কটাক্ষ করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদায়ন গুহ। তিনি বলেন রাজ্য সরকার যদি অসহযোগিতাই করতো তাহলে নিজস্ব অর্থ ব্যয় করে রানওয়ে সম্প্রসারণ করত না।
আরও পড়ুন – বিজেপির গঙ্গা আরতিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল বাবুঘাট
রাজ্য সরকার সব সময়ই চায় কোচবিহার বিমানবন্দর যা রাজার বিমানবন্দর সেখান থেকে বিমান পরিষেবা চালু হোক। বরঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকারি তার বিরোধিতা করে যাচ্ছে তারা বিমান সংস্থাগুলিকে চাপ না দিয়ে শুধুমাত্র উল্টোপাল্টা কথা বলে যাচ্ছে। ভোটের মুখে বিমান উড়বে বিমান উড়বে এই নাটক অনেক হয়েছে, যদি সত্যিই বিমান উড়াতে হয় তাহলে সঠিকভাবে পরিকাঠামো উন্নয়ন করে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে রাজ্যের সাথে কথা বলে বিমান পরিষেবা চালু করা হোক। মন্ত্রী বা বিধায়ক হিসাবে নয় কোচবিহারের বাসিন্দা হিসেবে আমিও চাই কোচবিহার থেকে বিমান পরিষেবা চালু হোক। বিমানবন্দর নিয়ে