সামান্য মাথা ব্যাথা থেকে জ্বর, আজকাল আমরা কথায় কথায় মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়ে নিই। একটু সমস্যা হলেই আগেই ছুটে যাই চিকিত্সকের কাছে। কিন্তু অতীতে একটা সময় ছিল যখন রোগ-ব্যাধি সারাতে সবচেয়ে বেশি প্রাকৃতিক উপাদানের উপরই ভরসা করা হত। তাতেই তখনকার মানুষ নীরোগ দেহে কাটিয়ে দিতেন বছরের পর বছর। এমনই কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এখনও বেশ জনপ্রিয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, মধু ও দারচিনির মিশ্রণ মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী।
আরও পড়ুনঃ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদের বিশেষ অধিবেশনের পাঁচ দিনই উপস্থিত থাকবেন
মধু এবং দারচিনি বিশেষ করে কোলেস্টেরল ও সুগার কমাতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধেও লড়াই করে এই মিশ্রণ। চলুন দেখে নিই শরীরের কোন কোন সমস্যায় কাজে দেয় মধু ও দারুচিনির মিশ্রণ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
মধু এবং দারুচিনি, এই দুই প্রাকৃতিক উপাদানেই প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে আমাদের শরীরকে রক্ষা করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল হল এক ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক, যা শরীরের কোষের ক্ষতি করে। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা দেখা দেয়।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়
দারুচিনি শরীরে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে উচ্চ শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। অন্যদিকে, মধুও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
দারুচিনি ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়, পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। এর ফলে হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে।
সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে
মধু এবং দারুচিনি উভয়েই রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণাগুণ। ফলে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস এবং ছত্রাক দ্বারা সৃষ্ট রোগ-ব্যাধি থেকে শরীরকে সুরক্ষিত রাখে। তাই, সুস্থ-সবল থাকতে রোজের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন মধু এবং দারুচিনি।
হজমশক্তি বাড়ায়
হজমের সমস্যা, পেট খারাপ, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় খুবই উপকারী মধু এবং দারুচিনি। এছাড়া, গবেষণায় দেখা গেছে দারুচিনি ওজন কমাতে সাহায্য করে।
প্রদাহ কমায়
মধু এবং দারুচিনি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। আর্থ্রাইটিস, জয়েন্ট পেন এবং হাঁপানির মতো বিভিন্ন অসুস্থতায় খুবই উপকারী মধু ও দারুচিনি।
প্রতিদিন কতটা পরিমাণ মধু এবং দারুচিনি খাওয়া উচিত?
চিকিত্সকদের মতে, প্রতিদিন এক চা চামচ মধু এবং আধা চা চামচ দারুচিনি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। খাবারের সঙ্গে এগুলি মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা আলাদা পানীয় বানিয়েও খেতে পারেন।