করলার গুণাগুণ

করলার গুণাগুণ

তিক্ত স্বাদের জন্য অনেকেইর না পসন্দ এই সবজি। বিশেষ করে বাচ্চাদের কাছে তো খুবই অপছন্দের এই সবজিটি। কিন্তু এই তেতো সবজিতেই রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। রোজকার খাবারের তালিকায় করলা  রাখলে শরীর সুস্থ থাকে বলেই জানাচ্ছেন চিকিত্‍সকরা। করলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন। প্রতিদিনের ডায়েটে এই তেতো সবজি থাকলে অসুখবিসুখের সঙ্গে লড়াই করা অনেক সহজ হয়ে ওঠে। জেনে নিন, করলা আমাদের স্বাস্থ্যের কী কী উপকার করে।

আরও পড়ুনঃ ফের কলকাতায় ডেঙ্গিতে বলি এক, পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক

ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে

ডায়াবেটিসের সমস্যায় যে সবজিগুলি চোখ বন্ধ করে খাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল করলা। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে যাদুর মত কাজ করে এই তেতো সবজিটি। বিশেষ করে, করলার জুস সুগারের মাত্রা কমাতে অনেক উপকারী। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের করলা খেতে প্রায় সব চিকিত্‍সকই বলেন।

 

হজমশক্তি বাড়ায়

করলাতে থাকা ফাইবার উপাদান ভাল হজমে সাহায্য করে। তাছাড়া, প্রতিদিন পর্যাপ্ত ফাইবার গ্রহণ মলত্যাগ সহজ করে তোলে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, শরীর থেকে বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে।

 

লিভারের সুস্থ রাখে

লিভার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে করলা। লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং শরীরের টক্সিন লিভারের মাধ্যমে ছেঁকে বের করতে সাহায্য করে। তাই যাঁদের লিভারের কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ নিয়ম করে করলা খান।

 

ওজন কমায়

নানা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ করলা খুব দ্রুত দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই সবজিতে ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেট খুব কম। বিশেষজ্ঞদের মতে, করলার রস ফ্যাট সেলগুলো বার্ন করে এবং সেই জায়গায় নতুন ফ্যাট সেল তৈরি হতে বাধা দেয়।

 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় করলা। করলায় থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পুষ্টি উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে তোলে। ফলে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি এবং সংক্রমণ থেকে সুস্থ থাকে শরীর।

 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে

হৃদরোগের অন্যতম কারণ কোলেস্টেরল। করলায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালশিয়াম রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে। হৃদরোগের অন্যতম কারণ কোলেস্টেরল। করলায় থাকা পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং ক্যালশিয়াম রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখে। ফলে হার্ট সুস্থ থাকে।

en.wikipedia.org