ত্বকে জেল্লা বাড়বে ও শরীর থাকবে সুস্থ ,টকদইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খান এই ফল l বাড়তি ওজন শরীরের জন্য কোনও ভাবেই ঠিক নয়। এতে হাজারো সমস্যা বাড়ে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, হাই ব্লাডপ্রেশার, সুগার, ওবেসিটি, হরমোনের অসামঞ্জস্যতা সব কিছুই জাঁকিয়ে বসে এই বেনিয়মে খাবার খাওয়ার ফলে। চারিদিকে খাবারের এত হাতছানি যে মানুষ ঠিক বুঝে উঠতে পারে না কোনটা ছেড়ে কী খাবে। পেটের খিদের থেকেও চোখের খিদে বেশি। আর সেই খিদের চোটেই বেশি খাওয়া হয়ে যায়। সন্ধ্যের মুখে বড় একখানা রোল খেলে ডিনারে আর কিছু খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এবার জোর করে যদি রাতে আবার রুটি বা ভাত খান তাহলেই হয় বিপত্তি। বেশি খাওয়া হয়ে যায়, শরীরে অস্বস্তি থাকে। এতে দিনের শেষে ক্যালেরি বাড়ে, আখেরে লাভ কিছুই হয় না।
রোজ দুপুরে ভাতের সঙ্গে যে চিকেন খাবেন তার পরিমাণ যেন ৭৫ গ্রামের বেশি না হয়। প্রয়োজনে শ্রেডেড চিকেন নিয়ে, মশলা মাখিয়ে শুকনো শুকনো, স্যাঁকা-পোড়া চিকেন বানিয়ে নিন। নিরামিষ ডাল খেলে মুগের ডাল বানিয়ে নিতে পারেন। তার মধ্যে কয়েককুচি গাজর, ফুলকপি, বিনস, কড়াইশুঁটি মিশিয়ে দিন। সবজির একটা তরকারি সঙ্গে থাকলে আর কোনও কিছুর প্রয়োজন নেই। তবে বেদানা দিয়ে একবাটি করে টকদই রোজ খেতে পারলে ওজন কমবেই।
শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে রোজ নিয়ম মেনে খেতে হবে। শরীরের যাবতীয় শক্তি আসে খাবার থেকেই। তাই খাবার একেবারে বন্ধ করলে চলবে না। খাবারের মধ্যে যদি বেশিক্ষণ গ্যাপ হয়ে যায় তাহলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা লেগেই থাকে। আর যা সারিয়ে ফেলা খুবই জরুরি। গ্যাস, অম্বল হলে শসীরের অতিরিক্ত শক্তিক্ষয় হয়। সাধারণ কাজেও এনার্জি থাকে না। এমনকী মন দিয়ে কোনও কাজও করা যায় না।
আরও পড়ুন- স্বামীর সঙ্গেই বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি নওয়াজ়ের স্ত্রী আলিয়ার! চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
তাই সব পুষ্টিবিদরাই কিন্তু সুষম আহারের পরামর্শ দেন। ভাত বন্ধ করে শুধু রুটি খেলেই রোগা হওয়া যায় এই ভাবনা একেবারেই ভুল। দুপুরে এক্বারে অল্প পরিমাণ ভাত খান। ৫০ গ্রাম ভাতের সঙ্গে একটা সবজি, ডাল, চিকেন বা মাছের যে কোনও একটা পদ রাখতে ভুলবেন না। আর সঙ্গে অবশ্যই রাখুন টকদই। এই টকদইয়ের মধ্যে বেদানা, শসা বা আঙুর মিশিয়ে খেতে পারেন। হাতের সামনে বেরি পেলে তাও মিশিয়ে নিতে পারেন। বেদানার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, আয়রন, ফোলিক অ্যাসিড। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টের জন্য ভাল আর শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দিতে বেদানার জুড়ি মেলা ভার।