নওশাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে জয়ী নির্দল প্রার্থীর সার্টিফিকেট আটকে রাখার অভিযোগ, থানার দ্বারস্থ জয়ী প্রার্থী। এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আইএসএফ-এর শীর্ষনেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বিরুদ্ধে। নওশাদের বিরুদ্ধে উঠল জয়ী নির্দল প্রার্থীর সার্টিফিকেট আটকে রাখার অভিযোগ। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ ওই নির্দল প্রার্থী। এই রাজনীতি ভাঙড়ের মানুষ মেনে নেবেন না বলে দাবি তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলামের।
ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা হাকিমুল ইসলাম বলেন, ‘একটা খবর পেলাম, সাদেকুল বলে একজন আছেন চালতাবেড়িয়া। তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন এবং জিতেছিলেন। তারপর শোনা গেল উইনিং সার্টিফিকেটটা ফুরফুরা শরীফে নওশাদ সিদ্দিকী সাহেবের কাছে সেটাকে জমা রাখতে হয়েছে এবং পরবর্তী সেই সার্টিফিকেট আর সাদেকুলকে দিচ্ছেন না। সেটা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। একটা জয়ী প্রার্থীর সার্টিফিকেট নিয়ে আটকে রাখা, মানুষ তাঁকে জিতিয়েছেন, কোন ধরণের রাজনীতি আপনি করছেন? এটা ভাঙড়ের মানুষ কোনওদিনও মেনে নেবেন না। অনুরোধ রাখিছ নওশাদ সাহেব, এমন রাজনীতি আপনি করবেন না। এই ঘটনায় ধিক্কার এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করব।’
জানা গিয়েছে, ভাঙড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের বামুনিয়া গ্রামের ১৪৭ নম্বর বুথে আইএসএফ-এর সমর্থনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েন সাদেকুল মোল্লা। নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। এরপর এলাকার দুই আইএসএফ নেতা গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও মোকারেব মোল্লা জয়ের সার্টিফিকেট-সহ ওই নিয়ে প্রার্থীকে ফুরফুরাতে নিয়ে যায়। সেখানে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী সার্টিফিকেটটি দেখার নাম করে তাঁর থেকে নেন। কিন্তু তারপর আর সেটি ফেরৎ দিচ্ছেন না বলেই অভিযোগ। যার জেরে এবার বাধ্য হয়ে পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছেন সাদেকুল মোল্লা।
আরও পড়ুন – ‘আমরা সবাই দায়ী…’, বেহালার খুদে সৌরনীলের মৃত্যুতে উল্লেখযোগ্য পোস্ট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র…
নির্দল প্রার্থী সাদেকুল মোল্লা বলেন, ‘আমি নির্দল প্রার্থী হয়ে জিতেছিলাম, আইএসএফ-এর সমর্থনে। তারপর গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও মোকারেব মোল্লা আমাকে বলে, নওশাদ ভাই তোমাকে যেতে বলেছেন, সার্টিফিকেটটা নিয়ে চল। সার্টিফিকেট নিয়ে গিয়েছি আমি। আমার কাছ থেকে নওশাদ সাহেব সার্টিফিকেটকা নিয়ে দেখে ফেরৎ দেবেন বলে, আর ফেরৎ দেননি। চাইছি ফেরৎ দিচ্ছেন না। সেই জন্য আমি থানায় এসেছি, সার্টিফিকেটটা যেন পাই।’