বিরোধী-জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন? বৈঠকের পর জানালেন নীতীশ,প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লোভ নেই, কেবল দেশের জন্য ভাল করা-ই লক্ষ্য। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর এমনটাই জানালেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। অন্যদিকে, দেশের ‘গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে’ নীতীশ কুমারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার বার্তা দিলেন অখিলেশ (Akhilesh Yadav)।জেডি(ইউ) প্রধান বলেন, “আমার ক্ষমতা ও পদের কোনও লোভ নেই। আমি কেবল দেশের ভালোর জন্য কাজ করতে চাই। আজ এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই।”
নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী পদের পিছনে ছুটছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। এদিন সেই অভিযোগ খণ্ডন করে জেডি(ইউ) প্রধান বলেন, “আমার ক্ষমতা ও পদের কোনও লোভ নেই। আমি কেবল দেশের ভালোর জন্য কাজ করতে চাই। আজ এটা স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, আমার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই।”
জানা গিয়েছে, এদিন নবান্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই লখনউ উড়ে যান নীতীশ কুমার ও তাঁর ডেপুটি তেজস্বী যাদব। সেখানে সমাজবাদী পার্টির (SP) প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তাঁরা। সেই বৈঠক শেষে যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন নীতীশ কুমার, তেজস্বী যাদব ও অখিলেশ যাদব। সেই বৈঠক থেকে জোট-বার্তারই ইঙ্গিত দিলেন নীতীশ-অখিলেশ। সমাজবাদী পার্টির প্রধান বলেন, “আমরা অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একসঙ্গে কাজ করব। বিশেষত, আসন্ন লোকসভা ভোটের প্রস্তুতিতে আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দল একসঙ্গে কাজ করব।” এরপরই জেডি(ইউ) প্রধানের জোট-বার্তাকে স্বাগত জানিয়ে অখিলেশের মন্তব্য, “গণতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচাতে আমরা আপনার সঙ্গে আছি।”
তাহলে বিরোধী-জোটের প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন? এদিন সেই প্রশ্নেরও জবাব দেন নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, “যখন আমরা একসঙ্গে আসব, তখনই সিদ্ধান্ত নেব কে আমাদের নেতা হবেন।”
রাজনৈতিক মহলের মতে, বিরোধী জোট-শলতেতে যে পাক দিতে নীতীশ কুমার ও তেজস্বী যাদব এদিন বাংলা এবং লখনউ সফর করেন, তাঁর সেই প্রথম পাক দেওয়ার চেষ্টা বিফলে যায়নি। তবে শেষ পর্যন্ত কটা পাক পড়ে এবং এই পাক কতটা মজবুত হয়, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন – ইডেনে কি নিজের শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ধোনি? দলের সাফল্যের রহস্য জানালেন…
এদিন নবান্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডি(ইউ) প্রধান নীতীশ কুমার ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। মূলত, বিরোধী ঐক্যে শান দিতেই এদিন নীতীশ-তেজস্বী বাংলা আসেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মমতার মুখেও শোনা যায় জোট-বার্তার ইঙ্গিত। তিনি স্পষ্ট বলেন, “আমাদের কোনও ইগো নেই। হাম সকলে একসঙ্গে মিলে চলব। মমতার থেকে এই বার্তা নিয়েই লখনউ উড়ে যান নীতীশ-তেজস্বী।”