বাঁকুড়া জেলার গেরুয়া শিবিরে বড়সড় ভাঙন ধরালো তৃণমূল। সোমবার দল ছাড়লেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষ। এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তুলে নিলেন তৃণমূলের পতাকা। আর তার দল বদলের কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দপাধ্যায়ের উন্নয়ন, তা স্পষ্টও করে দিলেন তিনি।
তন্ময়ের বক্তব্য , “রাজ্যের উন্নয়ন যজ্ঞে শামিল হতেই তৃণমূলে যোগ দিলাম।” অপরদিকে আগামীদিনে একাধিক বিজেপি বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেবেন বলে দাবী করেন ব্রাত্য। আর এই যোগদানের ফলে গেরুয়া শিবিরের বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫ এ।
এক সময়ে বিষ্ণুপুর ( Bishnupur ) শহরের তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন তিনি। পেশায় এই শহরের বড় ব্যবসায়ী। হঠাৎ করেই একুশের বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তন্ময়। বিষ্ণুপুরের বিজেপির প্রার্থীও হন। ভোটে জয়ও পান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরেই তন্ময় ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক ও রাজ্য সহ- সভাপতি শুভাশিস বটব্যালের যোগাযোগ বাড়ছিল তন্ময় ঘোষের। তার পরই এই দলবদল।
আর ও পড়ুন বিশ্বভারতীতে ( Visvabharati ) নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে প্রবল ধস্তাধস্তি পড়ুয়াদের
কিন্তু কেন এই দলবদল? বিষ্ণুপুরের ( Bishnupur ) ‘দলত্যাগী’ বিধায়কের বক্তব্য, “রাজ্যে উন্নয়ন যজ্ঞ চলছে। তৃণমূল রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের উন্নতির চেষ্টা করছে। সেই যজ্ঞে শামিল হতেই এবার দলবদল।” এদিন বিজেপি বিধায়ককে নিজেদের ‘ঘরে তুলে’ ব্রাত্য বসু জানান, “বিজেপির বহু বিধায়কই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিজেপি আমাদের সঙ্গে রাজনীতিতে পেরে উঠছে না। তাই প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে। সেই আচরণ মেনে নিতে পারছেন না গেরুয়া শিবিরের বহু নেতা-বিধায়ক। তাঁরা আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে চায়।”
এদিকে জেলার বিধায়কের দলবদল প্রসঙ্গে বিজেপির বিষ্ণুপুর ( Bishnupur ) সাংগাঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত অগস্তি বলেন, “উনি ভোটে জেতার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন। সংগঠনের কোনও নেতাকর্মীই ওঁকে চেনে না। তবে বিষ্ণুপুরের ( Bishnupur ) মানুষ তাঁদের সঙ্গে এই বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত করবে না। মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার প্রভাব রাজনৈতিক জীবনে কতটা পড়ে, কিছুদিনের মধ্যেই তিনি বুঝতে পারবেন।”