নতুন ছক গেরুয়া শিবিরের, কিন্তু কেন মুর্শিদাবাদই শাহের লক্ষ্য ? প্রথম পর্বে এই রাজ্য থেকে হেরে যাওয়া আসন জয়ের লক্ষ্য থেকে বাদ ছিল বহরমপুর। কিন্তু সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল এবং বড়ঞার বিধায়কের মোবাইল-কাণ্ডের পরে নতুন ছক গেরুয়া শিবিরের। চৈত্র সংক্রান্তির দিনে বীরভূমের সিউড়ির সভা থেকে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৩৫ আসনে জিততে হবে বলে রাজ্য বিজেপিকে নতুন টার্গেট ঠিক করে দিয়েছেন অমিত শাহ। আর তার পরের দিন পয়লা বৈশাখে কলকাতায় দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছেন, তাঁর পরবর্তী গন্তব্য হবে মুর্শিদাবাদ। এর পরেই জানা গিয়েছে, আগামী ৮ মে ফের বাংলায় আসতে পারেন শাহ। থাকবেন পরের দিনও। প্রথম দিন জনসভা এবং দ্বিতীয় দিন সাংগঠনিক বৈঠক। ওই দিনটা আবার বাঙালির প্রিয় উৎসব পঁচিশে বৈশাখ। বাংলায় ভাল ফলের লক্ষ্যে তাই রবীন্দ্রজয়ন্তী পালনেও অংশ নিতে পারেন শাহ। এখনও পর্যন্ত যা ঠিক, তাতে ৮ মে, সোমবার দুপুরের দিকে বাংলায় আসবেন শাহ। সে দিন হবে শুধুই জনসভা। আর পরের দিন জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে শাহের সফর এবং সন্ধ্যায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কথা।
যদিও স্থান, কাল কিছুই চূড়ান্ত না হলেও প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। শাহ যে হেতু মুর্শিদাবাদে যেতে চেয়েছেন, তাই বহরমপুরে সভা করার প্রাথমিক ভাবনা রয়েছে। তবে রাজ্য বিজেপি চাইছে এমন একটা জায়গায় সভা হোক, যেটা মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া দুই জেলার কাছাকাছি হবে। যদিও স্থান নির্বাচনের কাজটা করবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবে বসে না থেকে বৃহস্পতিবারই বহরমপুরে কর্মী সম্মেলন করে এসেছেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
আরও পড়ুন – সাত বছরের গরম-রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলল কলকাতা! কী বলছে আবহাওয়া দফতর?
কিন্তু মুর্শিদাবাদই কেন শাহের লক্ষ্য? বিজেপি বছর দেড়েক আগেই রাজ্যের হেরে যাওয়া আসনগুলিকে লক্ষ্য করে কাজ শুরু করে বিজেপি। তখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি আসন এবং উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এবং বসিরহাট ‘কঠিন আসন’ হিসাবে বিজেপির তালিকায় ছিল না। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শুধু বহরমপুর এবং জঙ্গিপুরকে তালিকায় আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে বারাসতও এসেছে বিজেপির লক্ষ্যে। আর সেই বেড়ে যাওয়া আসনের দিকে তাকিয়েই বহরমপুর অভিযান শাহের।১৯৯৯ থেকে ২০১৯ টানা পাঁচ বার বহরমপুর আসন থেকে জিতেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।