প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
শনিবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ
সুকান্ত মন্তব্য: বাংলার পঞ্চায়েত ভোট। বাংলার নেতারাই লড়ে নেবেন। কেন্দ্রীয় নেতা লাগবে না।
তাই তো ঘটছে। অমিত শাহ বা নাড্ডা জি রা আসছেন। 6 জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসছেন। তারা লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে আসছেন। বিশেষত সেই জায়গা গুলিতে ফোকাস করছেন, যেখানে আমরা আগেরবার জিততে পারিনি। বাকি আমরা প্রদেশের পুরো টিম, রাজ্য সভাপতির নেতৃত্বে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। তারা স্থানীয় সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্য নেতৃত্বকেই লড়তে হবে।
কুন্তলের মুখে বিজেপির তত্ব
জেলে যাওয়ার পর মনে পড়ল? কেউ শিখিয়ে দিয়েছে মনে হয়। কবে থেকে ধরেছে। এতোদিন কিছু বলেন নি তো। তাপস মন্ডল বা যেই হোক, যার সঙ্গে আপনারা এইসব কাজ করছিলেন, তখন কে সিপিএম, কে বিজেপি, কে তৃণমূল মনে পড়েনি। আজ যখন পালানোর রাস্তা নেই, তখন বিজেপির নাম বলছেন! আপনার বাড়ি থেকে ও এম আর শিট, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গেছে। অর্থাৎ আপনার অপকর্মের প্রমাণ আছে। তাপস মন্ডল বিজেপি কিনা, সেটা তো আপনাকেই তথ্য প্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। আপনার বাঁচার রাস্তা নেই।
এক দিনে ১৫৩ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট?
অনুব্রত নিয়ে যত তদন্ত এগোচ্ছে, এই সব তথ্য সামনে আসছে। এতোদিন ধরে, এতো ব্যাপক আকারে তদন্ত। তদন্তকারীরা আরও গভীরে যেতে চাইছেন। ফলে সময় লাগছে। সমস্ত জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যে ১৪ লক্ষ ভুয়ো আধার কার্ড। কার্ডের মালিক জানেই না, তার নামে আরেকটা কার্ড হয়েছে। ভুয়ো রেশন কার্ড লক্ষ লক্ষ বাতিল করতে হল। এই যে সার্বিক দুর্নীতি চলছিল, সিপিএম আমল থেকে দুর্নীতির শুরু। তৃণমূল কংগ্রেস সেটাকে সর্বজনীন করে তুলেছে। বাংলার মানুষ হতাশ।
আরও পড়ুন-কারখানায় হানা ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগের, আমদানি বন্ধ করল আমেরিকা
ত্রিপুরায় দারুণ ফল হবে
কাল আমরা প্রতিটা বিধানসভায় কার্পেট বম্বিং করেছি। কাল নাড্ডা ছিলেন। বাংলার টিম ছিল। আসামের টিম ছিল। বিজেপি পুরো শক্তি লাগিয়ে ত্রিপুরা জিততে চায়। সেখানকার মানুষকে সুশাসন দিতে চায়। প্রধানমন্ত্রী যাবেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও যাবেন। আমি নিজে ১০০ কিলোমিটার ভিতরের একটা গ্রামে গেছিলাম। খুব ভালো সাড়া পেয়েছি।