পিতৃপক্ষের অবসান, মাতৃপক্ষের সুচনা। মহালয়ার এই পূর্নলগ্নে এবার দেখা গেল বোল্পুরের এক অন্য চিত্র। শনিবার বোলপুরে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরাকে দেখা গেল এক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করতে। তৃণমূলের লোগোকে একটি ছবির ফ্রেমে বাঁধিয়ে তাতে গাঁদার মালা পরালেন বিজেপি নেতা। আর সেখানে উপস্থিত বোলপুর সাংগঠনিক জেলার দলীয় নেতা-কর্মীদের গলায় তখন, ‘বলো হরি হরি বোল’ ধ্বনি। প্রথমদিকে দলীয় কর্মীরা একটু খাদে ধ্বনি দিচ্ছিলেন। অনুপম বলে ওঠেন, ‘জোরে জোরে বলো’। শ্রাদ্ধে যেভাবে মৃতের ছবি সামনে নানা উপাচার থাকে, এদিন ওই ছবির নীচে তেমনই রাখা ছিল কয়লা, বালি, মাটির গরুও।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ মামলায় ফের পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের
অনুপম হাজরা বলেন, “গত ৫-৭ বছর ধরে তৃণমূলের শাসনকালে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এতটাই অত্যাচারিত যে মানসিকভাবে তৃণমূলকে বর্জন করেছে। তবে ভোট লুঠ করে তৃণমূল ক্ষমতায় টিকে আছে। মানুষের মন থেকে যেহেতু তৃণমূল গত হয়েছে, তাই মনে হল তৃণমূলের শ্রাদ্ধ করা দরকার। সে কারণেই তৃণমূলের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান করছি। খাওয়া দাওয়াও হবে।” যদিও রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, “আমি জানি না সে কে।”
তবে গত বছরও এরকমই এক ছবি তবে গত বছরও এরকমই এক ছবি ঘিরে বিতর্ক দানা বাধে। বাবুঘাটে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর ছবি রেখে তাতে মালা পরিয়েছিলেন মদন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “ওনারা বেঁচে থাকুন। সপরিবারে সুস্থ থাকুন। বিজেপির যে অপমৃত্যু ঘটতে চলেছে তাতে আমি আগাম বিজেপির রাজনৈতিক তর্পণ করে গেলাম।” এই ঘটনাকে কদর্য রাজনীতি বলেই তকমা দিয়েছিল ওয়াকিবহাল মহল। এবার সেই সেই একই রাজনীতির পথে দেখা গেল একসময় তৃণমূলের সাংসদ থাকা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে। ঘিরে বিতর্ক দানা বাধে। বাবুঘাটে দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারীর ছবি রেখে তাতে মালা পরিয়েছিলেন মদন। তাঁর বক্তব্য ছিল, “ওনারা বেঁচে থাকুন। সপরিবারে সুস্থ থাকুন। বিজেপির যে অপমৃত্যু ঘটতে চলেছে তাতে আমি আগাম বিজেপির রাজনৈতিক তর্পণ করে গেলাম।” এই ঘটনাকে কদর্য রাজনীতি বলেই তকমা দিয়েছিল ওয়াকিবহাল মহল। এবার সেই সেই একই রাজনীতির পথে দেখা গেল একসময় তৃণমূলের সাংসদ থাকা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে। একসময় তৃণমূলের সাংসদ থাকা বিজেপি নেতা অনুপম হাজরাকে।