রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনারকে সরাতে পারবেন না বলেই মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর , আদালতের উপরও আস্থা প্রকাশ বিরোধী নেতার । আদালতের হস্তক্ষেপে শেষমেশ কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সব মিলিয়ে মোট ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, একাধিক ইস্যুতে মুখ খুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সিপিএমকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব সাফ করবে বিজেপিই। সিপিএম পারবে না। তারা গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। কেষ্ট মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর বাইরে বেরিয়েছে। সিপিএমের আনন্দ করার কিছু নেই। তাদের ৩৪ বছরও মানুষ দেখেছে। সিপিএমকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুযোগ পেলে মানুষ একইভাবে তৃণমূলকেও প্রত্যাখ্যান করবে।’
সিপিএমকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, ‘বাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব সাফ করবে বিজেপিই। সিপিএম পারবে না। তারা গর্তে ঢুকে গিয়েছিল।কেষ্ট মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পর বাইরে বেরিয়েছে।সিপিএমের আনন্দ করার কিছু নেই। তাদের ৩৪ বছরও মানুষ দেখেছে।সিপিএমকে মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।সুযোগ পেলে মানুষ একইভাবে তৃণমূলকেও প্রত্যাখ্যান করবে।’
নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন,’সেক্টর অফিসেও যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে সেই ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।প্রতি থানাতে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক এটা আমার চাই।তবেই ভোট লুঠ ও সন্ত্রাস বন্ধ করা সম্ভব।জীবনহানি বন্ধ করা সম্ভব। মৃত আটজনের মধ্যে সাতজন সংখ্যালঘু।এঁদের ভোটেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছে।এনআরসির নামে ভয় দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের থেকে ভোট আদায় করেছেন।এখন তাঁদেরকেই হিংসায় বলি হতে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন – দুর্গাপুজোয় কোথায় ঘুরতে যাওয়ার হিড়িক সবথেকে বেশি, টিকিট বুকিংয়ের ট্রেন্ড অনুমান করে…
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইস্যুতেও মুখ খুলেছেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় রাজ্যপাল জানিয়েছেন,প্রত্যেক রক্তবিন্দুর জন্য দায়ী নির্বাচন কমিশন।সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘সঠিক মূল্যায়ন, রাজ্যপাল এখন চেষ্টা করছেন।কিন্তু আমি আবার বলব গোড়ায় গলদ উনিই করেছেন।মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মতো রাজীব সিনহাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বেছে নেওয়া উচিত হয়নি। রাজ্যপাল অত্যন্ত ভালো মানুষ,তাঁর ভূমিকার প্রশংসা জানাই। আগামী দিনে হয়তো তিনি আরও বেশি করে সক্রিয় হবেন।কিন্তু নির্বাচন কমিশনারকে রাজ্যপাল সরাতে পারবেন না,আইনে নেই। পারলে শুধুমাত্র হাইকোর্টই পারবে অথবা ইমপিচমেন্টের মাধ্যমে করতে হবে।হাইকোর্টের উপর আমরা আস্থা রাখছি এবং আমরা ময়দানেই রয়েছি।’