বেকসুর খালাস অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি ,প্রমাণই মিলল না, জিয়া খান আত্মহত্যা মামলায়, ‘তথ্যপ্রমাণের অভাব’-এ বলিউড-অভিনেত্রী জিয়া খানকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় বেকসুর খালাস হলেন অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলি। ২০১৩ সালের অন্যতম আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ছিল জিয়া খানের আত্মহত্যা। প্রশ্ন উঠেছিল: অভিনেত্রীর আত্মহত্যার দায় কার? কেরিয়ারের শুরুতেই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি? উত্তর খুঁজতে মরিয়া ছিল গোটা বিনোদন জগত। ২৫ বছর বয়সী জিয়ার ছ’পাতার সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে অভিযুক্ত হন সূরজ। তাঁকে মোট ৫৫৮টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছে শুনানি-পর্বে।
২৮ এপ্রিল সকাল ১০.৩০ মিনিটে জিয়া খান মামলার চূড়ান্ত রায় দেওয়া শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল থেকেই সকলে মুখিয়ে ছিলেন কী হয় অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি ও অভিনেত্রী জ়ারিনা ওয়াহাবের ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির। কী রয়েছে সূরজের কপালে? প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগই কি হবে সত্যি? ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ নম্বর ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু হয় সূরজের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ ১০ বছরের মামলার পর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত সাফ জানিয়ে দিল, ‘কোনও প্ররোচনা দেওয়া হয়নি’।
এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই মোট ২২জন সাক্ষীর জবানি নথিভুক্ত করে, যাঁদের মধ্যে অন্য়তম ছিলেন জিয়ার মা রাবিয়া খান। মুম্বই হাইকোর্টের সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন জিয়ার মা রাবিয়া। জিয়ার মৃত্য়ু কোনওমতেই আত্মহত্যার ঘটনা নয়, সূরজই মেয়েকে খুন করেছে—সর্বত্র একই অভিযোগ করেন রাবিয়া। সিবিআই যদিও স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে, জিয়ার মৃত্যু যে খুন, এমন কোনও প্রমাণই মেলেনি। সূরজের তরফে আইনজীবী প্রশান্ত পাটিল আদালতে জানিয়েছেন, ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে কেউই একথা বলেননি যে, জিয়াকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল।
‘সত্যেরই জয় হয় সবসময়’। একথা লেখা শেষ করে সূরজ দিয়েছেন একটি বিস্ময়বোধক চিহ্ন (!)। এই চিহ্ন কি বহন করছে কোনও আলাদা অর্থ? বেকসুর খালাস হওয়ার ঘটনায় যাঁরা বিস্ময় প্রকাশ করলেন, প্রকারান্তরে তাঁদেরই কি ইঙ্গিত করতে চাইলেন সূরজ?
আরও পড়ুন – নিয়োগ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানালেন অভিষেক, আর কী কী…
২০১৩-র ৩ জুন বলিউডের অন্যতম নয়া মুখ জিয়া খানকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁর জুহুর ফ্ল্যাট থেকে। এই মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি কেউই। অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা বারবার দাবি করেছিলেন, আত্মহত্যা করতে পারেন না তাঁদের মেয়ে। অভিযোগ ওঠে, প্ররোচনা ছাড়া এমন ঘটনা ঘটতেই পারে না। এর পর জিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ছয় পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোট, যা নিয়েও তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা।