এমনভাবে টেট হয়েছে কোনও কালনাগিনী ঢুকতে পারেনি মন্তব্য ব্রাত্য বসুর

এমনভাবে টেট হয়েছে কোনও কালনাগিনী ঢুকতে পারেনি মন্তব্য ব্রাত্য বসুর ,গত ১১ ডিসেম্বর ২০২২ সালের টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। মোট ৬ লক্ষ ৯০ হাজার জন পরীক্ষা দিয়েছেন। যার মধ্যে দেড় লক্ষ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। নিয়োগ হবে কবে, এই প্রশ্নের জবাবে এদিন পর্ষদ সভাপতি জানান, ‘এখন ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেটের নিয়োগ চলছে। তারমধ্যেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে। খুব শিগগির নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।’

 

 

 

টেট নিয়ে অতীতে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল, তা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়েই কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ডিসেম্বরের টেট (TET 2022) নেওয়া হয়েছিল। পুরোপুরি কি বিতর্ক এড়ানো গেছে? দিন কয়েক আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর বাড়ি তল্লাশি করেই ইডি অফিসাররা ২০২২ সালের টেটের বেশকিছু ওএমআর শিট উদ্ধার করেন! কীভাবে সেই ওএমআর শিট পৌঁছে গেল কুন্তলের বাড়ি, তা নিয়ে এখনও তদন্ত করছে ইডি। তবে এই বিষয়ে পর্ষদের কোনও গাফিলতি নেই বলে, আগেই জানিয়েছিলেন সভাপতি গৌতম পাল। শুক্রবার টেটের ফল প্রকাশের পর সাংবাদিক বৈঠক করে একই কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।

 

 

পর্ষদ সভাপতিকে পাশে নিয়ে ব্রাত্য বসু বললেন, ‘পর্ষদ যেভাবে পরীক্ষা নিয়েছে তাতে এমন কোনও ফাঁক বা ছিদ্র ছিল না, যার মধ্যে দিয়ে কোনও কালনাগিনী গলতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কোনও চাকরিপ্রার্থী যদি দালালের ফাঁদে পা দেন, তবে তার দায় কোনওভাবেই পর্ষদের
নয়।’

 

ইডি আদালতে দাবি করেছিল, কুন্তল ঘোষের বাড়ি থেকে ২৫০টি ওএমআর শিট উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলি ২০২২ সালেরই! কেন তাঁর বাড়িতে এই ওএমআর শিট? যা নিয়ে কুন্তল দাবি করেছিলেন, ‘আরটিআই করেই এই ওএমআর শিট পেয়েছেন।’ কিন্তু কেন আরটিআই করার প্রয়োজন পড়ল তার কোনও সদুত্তর মেলেনি কুন্তলের থেকে।

 

আরও পড়ুন –আমার ভিডিয়ো বিক্রি করে টাকা তুলেছে আদিল!’ স্বামীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রাখি

অনেকের মতে, এবার পর্ষদ পরীক্ষার পর পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্রের সঙ্গে তাঁদের ওএমআর শিটের ডুপ্লিকেট কপি দিয়ে দিয়েছিল। সেই কপিই ছিল কুন্তলের বাড়িতে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ উঠলে ব্রাত্য বলেন, ‘পর্ষদ পরীক্ষার্থীকে তাঁদের ওএমআর শিটের একটা কপি দিয়েছে। সেই কপি যদি কেউ অন্য কাউকে দেন, তবে তার দায় পর্ষদের নয়।’ পরীক্ষা এবার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বজায় রেখেই নেওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিল পর্ষদ, জানালেন ব্রাত্য।