‘কাকু’-র বাড়িতে আসতেন অভিষেক, দাবি ধৃত সুজয়কৃষ্ণের দাদা অজয়কৃষ্ণের, নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়িতে অতীতে এসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই দাবি করেছেন ধৃত সুজয়ের দাদা অজয়কৃষ্ণ ভদ্র। এক সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবার বরাবরই আরএসএস ঘনিষ্ঠ। সুজয় পরে তৃণমূলে যোগ দেন। যদিও সুজয়ের স্ত্রীর বীণা ভদ্রের দাবি, স্বামীর গ্রেফতারির পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে বেসরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলকে। তাঁর মুখেই প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’র কথা শোনা যায়। নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে নাম এসেছে গোপাল দলপতির। তাঁর মুখেও ‘কাকু’র নাম শোনা গিয়েছিল। এর পরেই গোয়েন্দাদের আতশকাচের তলায় আসেন সুজয়। মঙ্গলবার একটানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি গ্রেফতার করে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-কে।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া সুজয়কৃষ্ণ কাজ করতেন অভিষেকের একটি অফিসে। এমনটা দাবি করেছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ নিজেই। কিন্তু এর চেয়ে বেশি কিছু তথ্য প্রকাশ্যে নেই। ভাইয়ের গ্রেফতারি সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অজয় জানিয়েছেন, ভাই সুজয়কৃষ্ণের বাড়িতে কয়েক বার এসেছিলেন অভিষেক। সেখানেই সুজয় দাদা অজয়ের সঙ্গে অভিষেকের পরিচয়ও করিয়ে দেন। অজয় বলেন, ‘‘যত দূর জানি, ও (সুজয়কৃষ্ণ) অভিষেকের ওখানে চাকরি করত। কোথায় অফিস, কী অফিস কিছুই জানি না, খালি কানে শোনা। দু’এক বার অভিষেক ওর বাড়িতে এসেছিল। তখন চোখে দেখেছি। পরিচয় করিয়ে বলেছিল, এটা আমার দাদা। আর কোনও রকম কথা হয়নি।’’
আরও পড়ুন – কিছুই খাচ্ছেন না ‘কালীঘাটের কাকু’! অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা ইডির, চাওয়া হল…
সুজয়কৃষ্ণকে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এক বাক্যে জবাব দিতেন, তিনি তৃণমূল করেন। গ্রেফতার হওয়ার পরে অবশ্য তাঁর দাদার মুখে শোনা গেল অন্য কথা। অজয়ের দাবি, তাঁরা পারিবারিক ভাবে আরএসএসের আদর্শের কাছাকাছি। তাঁর আরও দাবি, তাঁদের পরিবার বেশ কয়েক প্রজন্ম ধরে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত। সুজয়, অজয়ের বড় দাদা অমরকৃষ্ণ এখনও সক্রিয় ভাবে আরএসএস করেন। তবে অজয়কৃষ্ণ মেনে নিয়েছেন, আগে আরএসএস করলেও পরবর্তীতে ভাই সুজয়কৃষ্ণ তৃণমূলই করতেন।