মমতার অভিযোগ খারিজ BSF-র ,‘আন্তর্জাতিক সীমান্ত সুরক্ষাই প্রধান দায়িত্ব, ভোটের সময় নিরাপত্তা দিতে বিএসএফ জওয়ানদের সাহায্য নেওয়া হলেও সে ক্ষেত্রে বিএসএফ রাজ্য প্রশাসনের তত্ত্বাবধানেই কাজ করে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। কোচবিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। বিএসএফ ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই অভিযোগ খারিজ করে বিবৃতি দিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তথ্য সঠিক নয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ভোট প্রভাবিত করা নয়, বরং ভোট শান্তিপূর্ণ করতে বিএসএফ কাজ করে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই বিবৃতিতে।
কোচবিহারের প্রচার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটারদের উদ্দেশে বলেছিলেন, ভোটের সময় বিএসএফ ভয় দেখাতে পারে, এমন খবর আছে। এরকম কিছু ঘটলে যাতে গ্রামবাসীরা জানান, তেমনই বলেন মমতা। বিএসএফ গুলি করলে যাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়, সেই বার্তাও দিয়ে এসেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সীমান্ত রক্ষার নামে বাড়বাড়ন্ত চলছে। রাজ্যে যে ক্ষমতা ওদের হাতে নেই, সেটাও বুঝিয়ে দেন তিনি। এরপরই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে বিএসএফের তরফ থেকে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সীমান্তে সুরক্ষা দেওয়াই বিএসএফ-এর প্রধান দায়িত্ব। ভোটারদের প্রভাবিত বা ভয় দেখানো হয় না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। বাহিনী স্পষ্ট জানিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধ দমনের জন্যই বিএসএফ-কে মোতায়েন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দেওয়াই বাহিনীর মূল কাজ। পাচার বন্ধ করাও বিএসএফের অন্যতম কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
বিএসএফ জওয়ানরা ভোট প্রভাবিত করছেন, সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষেরা এখনও পর্যন্ত এমন কোনও অভিযোগ করেনি বলেও দাবি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে যে, সুষ্ঠ নির্বাচন করানোই বিএসএফের দায়িত্ব।
আরও পড়ুন – নতুন সরকার আসছে, একটু ধৈর্য ধরুন, কিসের ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী ?
ভোটের সময় নিরাপত্তা দিতে বিএসএফ জওয়ানদের সাহায্য নেওয়া হলেও সে ক্ষেত্রে বিএসএফ রাজ্য প্রশাসনের তত্ত্বাবধানেই কাজ করে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। সব শেষে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা সব অভিযোগ খারিজ করা হচ্ছে।