শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিসর্টের অদূরে গঙ্গায় ভাসছে বান্ডিল বান্ডিল দলিল , দুপুরে রোজকার মতো স্নান করতে নেমেছিলেন গঙ্গায়। কিন্তু, কে জানত তাঁদের চোখেই পড়বে এদিন এক অদ্ভুত দৃশ্য। এদিন বলগড়ের চাঁদরা এলাকায় দুপুরে গঙ্গায় (Ganges) স্নান করতে নেমে হতবাক হয়ে যান কয়েকজন স্থানীয়। দেখেন বান্ডিল বাঁধা কিছু একটা ভেসে আসছে জলে। বান্ডিলে বাঁধা গুচ্ছ গুচ্ছ কাগজ। কিন্তু, কিসের কাগজ প্রথমে পরিষ্কার হয়নি কারও কাছেই। শেষে বান্ডিলগুলি তুলে গঙ্গার পাড়ে এনে খুলতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। দেখা যায় বান্ডিলে বাঁধা রয়েছে শতাধিক দলিল। বিভিন্ন দামের স্টাম্প পেপারে লেখা দলিল।
দলিল উদ্ধারের পর স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন স্থানীয়রা। এদিকে দলিলগুলি আসল না নকল তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপনউতর। কোথা থেকেই সেগুলি বলাগড়ে এল তারও খোঁজ চলছে। প্রসঙ্গত, বলাগড়ের যে এলাকায় দলিলগুলি উদ্ধার হয়েছে সেই চাঁদরাতেই নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বিলাসবহুল রিসর্ট রয়েছে। বর্তমানে ইডি হেফাজতে দিন কাটছে শান্তনুর। এবার সেই এলাকাতে বিশাল সংখ্যক দলিল উদ্ধার হওয়ায় স্বভাবতই তা নিয়ে নানা জল্পনা ছড়াচ্ছে গোটা এলাকায়। বলাগড়ে গঙ্গার ধারে বিশাল এলাকাজুড়ে এই বাগানবাড়ি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাত বাড়লেই এই বাগানবাড়িতে শুরু হতো নামী দামি গাড়ির আনাগোনা। কে বা কারা আসতেন তা বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যেত না। কারণ, সমস্ত গাড়ির কাচ তোলা থাকত।
আরও পড়ুন – বাঁকুড়ার পোড়ো প্রাসাদে ঢুকে সিন্দুকের পাশে হাড়গোড়, মাথার খুলি পেল পুলিশ
মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ঠিকানাও লেখা রয়েছে কিছু দলিলে। কিন্তু, এত দলিল গঙ্গায় কি করে এল তার উত্তর খুঁজে পাননি কেউই। এদিকে ততক্ষণে ঘটনার কথা চাউর হয়ে গিয়েছে আশেপাশের এলাকায়। গঙ্গার পারে জমতে শুরু করে কৌতূহলী জনতার ভিড়। দলিল নিয়ে ক্রমেই বাড়তে থাকে জল্পনা। স্থানীয় এক রাকেশ দত্ত বলেন, “দলিলগুলি দেখে মনে হচ্ছে কাছাকাছি কোনও জায়গা থেকে ফেলা হয়েছে। কারণ মুর্শিদাবাদ থেকে গঙ্গায় ভেসে এলে এতক্ষণে কাগজ ভিজে নষ্ট হয়ে যেত।”